360327

অবৈধপথে যুক্তরাজ্যে ঢুকলে ৪ বছর জেল

প্রবাস ডেস্ক।। অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে আরও কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য। নৌকা করে কেউ যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে তার চার বছরের সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটির হোম অফিস। আজ মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের জাতীয়তা ও বর্ডার নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নতুন আইন পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত আইনে এই সাজা বাড়িয়ে চার বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ চোরাচালানকারী বা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে এলে তাকে এই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এদিকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানে জড়িতদের শাস্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। প্রস্তাবিত আইনে চোরাকারবারিদের ১৪ বছরের যাবজ্জীবনে বিধান রাখছে যুক্তরাজ্য।

দেশটির হোম অফিস থেকে বলা হয়েছে, ‘আশ্রয়’প্রার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্য অন্যতম পছন্দের স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রস্তাবিত আইন পাস হলে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনের সংখ্যা কমে আসবে বলে মনে করছে সরকার।

জাতীয়তা ও বর্ডার আইন সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাওয়ার সিস্টেম ভেঙে পড়েছে। নতুন আইন পাস হলে তা সঠিকপথে আসবে। আইনটি প্রকৃত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য ন্যায্য হবে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যে যারা বৈধপথে প্রবেশ করছেন, তাদের আমরা সবসময় স্বাগত জানাই। কিন্তু যারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে অবৈধপথে প্রবেশ করছেন, তাদের জন্যই এই আইন।

আইন পাস হলে দেশটিতে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের ভূখ-ের বাইরে একটি কেন্দ্র খোলা হবে। অবৈধপথে কেউ যুক্তরাজ্যে এলে তাকে পাঠানো হবে সেখানে। প্রস্তাবিত দ্বীপগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আটলান্টিক সমুদ্রের অ্যাসসেনশন, জিব্রাল্টার ও আইল অব ম্যান।

চলতি বছর বিপুলসংখ্যক অভিবাসী ‘অনিয়মিত’ পথে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে এসেছেন। এরই মধ্যে এ সংখ্যা ৫ হাজার ৬শ জনের বেশি। এই স্রোত ঠেকাতে গত মার্চে প্রাথমিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে যুক্তরাজ্য সরকার।

অন্যদিকে গত দেড় বছরে ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন ৫ হাজার ৩৫০ জন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় বাংলাদেশিদের অবস্থান বর্তমানে বিশ্বে চতুর্থ।

আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএম বলছে, এ বছরের ২০ মে পর্যন্ত ৭৪৩ জন ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। সংস্থাটির তথ্য থেকে আরও জানা যায়, গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ১১ জন। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৭৩৪ জনে। গত বছর প্রথম পাঁচ মাসে ২৯০ জন মারা গেলেও এ বছর মারা গেছেন ৭৪৩ জন।

 

ad

পাঠকের মতামত