341169

এমসি কলেজে গ’ণধ’র্ষণ : প্রধান আসা’মি সাইফুরসহ গ্রে’প্তার ২

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁ’ধে রেখে স্ত্রীকে গ’ণধ’র্ষণের ঘ’টনায় করা মা’মলার আ’সামি সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে গ্রে’প্তার করেছে পুলিশ। সাইফুর গ’ণধ’র্ষণ মা’মলার প্রধান আ’সামি এবং অর্জুন ৪ নম্বর আ’সামি।

আজ রোববার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক খেয়াঘাট এলাকা থেকে সাইফুরকে গ্রে’প্তার করা হয়। সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারে উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর অর্জুনকে আজ ভোর ৬টায় হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা এলাকা থেকে গ্রে’প্তার করে পুলিশ।

সাইফুরের বাড়ি বালাগঞ্জ ও অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে। ধ’র্ষ’ণের ঘ’টনার পর অর্জুন পালিয়ে যান হবিগঞ্জের মাধবপুর। সেখানে মনতলা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থা নিয়েছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্জুনের অবস্থান শনাক্ত করে রোববার সকালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রে’প্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

সুনামগঞ্জের এসপি মিজানুর রহমান জানান, সকালে ছাতক থেকে ঘটনার প্রধান অ’ভিযুক্তকে গ্রে’প্তার করেছে। আমাদের জানা মতে মা’মলার এজাহার অনুযায়ী আ’টক করা ব্যক্তিই প্রধান অ’ভিযুক্ত।
এর আগে স্ত্রীকে গ’ণধর্ষ’ণের ঘ’টনায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অ’জ্ঞাত আরও তিনজনকে আ’সামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মা’মলা করেছিলেন ভু’ক্তভো’গী তরুণীর স্বামী।

এম সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্কর ছাড়া মা’মলার অন্য আ’সামিরা হলেন- মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। তাদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও তিন জনকে অ’জ্ঞাত আ’সামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জ’ড়িত বলে জানা গেছে।

ঘ’টনার পরই অ’ভিযুক্তদের ধ’রতে অ’ভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার রাত ২টার দিকে পুলিশ অ’ভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পা’ইপগা’ন, চারটি রা’ম’দা, একটি ছু’রি ও দুটি লো’হার পাইপও উ’দ্ধার করে।

এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি প্রাইভেটকার যোগে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন ওই তরুণী। সন্ধ্যা হয়ে এলে ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ছয় কর্মী মিলে স্বামীকে মা’রধ’র করে বেঁ’ধে রেখে তরুণীকে ধ’র্ষণ করেন বলে অ’ভিযোগ করা হয়। খবর পেয়ে গৃহবধূকে উ’দ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।

ad

পাঠকের মতামত