341143

বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে ‘বাংলাদেশ রুরাল ওয়াটার, স্যানিটেশন এন্ড হাইজিন ফর হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ নামে প্রকল্প অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশকে ২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের ৬ লাখ মানুষ পাইপলাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানির সুবিধা পাবে। একইসঙ্গে ৩৬ লাখ মানুষকে স্যানিটেশন সুবিধা দেয়া হবে। এর ফলে মানুষ নিজ বাড়ি ও জনবহুল স্থানে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সুযোগ পাবে, রোগ প্রতিরোধ ও কোভিড-১৯ এর মতো মহামারি মোকাবেলা সহজ হবে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভূটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং খোলা জায়গায় মলমূত্রত্যাগ বন্ধে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। কিন্তু এখনো সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের মান, নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা ও মানব উন্নয়নের বিষয়টি এখনো চ্যালেঞ্জিং। তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে ডায়রিয়ার মতো রোগের বিস্তার রোধ, পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি, বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। এর ফলে দারিদ্র নিরসন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি তরান্বিত হবে।’

এই প্রকল্পের আওতায় বাজার ও কমিউনিটি ক্লিনিক আছে এমন জনবহুল স্থানে হাত ধোয়ার অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। কমপক্ষে ২ হাজার ৫শ’ ১৪টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে যাতে ট্যাংকের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা আর হাত ধোয়ার জন্য থাকবে সাবানের ব্যবস্থা।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পানি গবেষক এবং এই প্রকল্পের দলনেতা রোকেয়া আহমেদ বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। চরম বিরূপ আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশুদ্ধ খাবার পানির মান ও সহজপ্রাপ্যতা কমছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সহনীয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা তৈরি করা যাবে এবং ভূপৃষ্ঠ ও ভূতলের পানির দূষণ রোধ ও সঠিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।’

বাংলাদেশ প্রতি চার জনের একজন নারী মাসিকের সময় স্বাস্থ্যসম্মত উপকরণ ব্যবহার করতে পারেনা। এর ফলে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীসহ নারীরা সংক্রমণসহ নানা সমস্যায় ভোগে। এই প্রকল্পের আওতায় স্যানিটারি ন্যাপকিনের মতো সুরক্ষা সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌছে দিতে দেড়শ জন নারী উদ্যোক্তাকে ক্ষুদ্রঋণ দেয়া হবে। ময়মনসিংহ, রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ৭৮টি উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন –আইডিএ’ এ ঋণের অর্থ সরবরাহ করবে। ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মধ্যে এ ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। বর্তমানে বাংলাদেশ আইডিএ’র নানা কর্মসূচির সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণগ্রহীতা দেশ।

ad

পাঠকের মতামত