339889

প্রেমিকাকে হ’ত্যার দায়ে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশির মৃ’ত্যুদ’ণ্ড

সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত অবস্থায় বান্ধবীকে হ’ত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে মৃ’ত্যুদ’ণ্ডাদেশ পেয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসী আহমেদ সেলিম। নুরহিদায়তি ওয়ার্টনো সুরতা নামে ইন্দোনেশিয়ান ওই নারীকে সেলিম প্র’তারণার কারণে হ’ত্যা করেন বলে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সুরতা তার সঙ্গে সম্পর্কে থাকা অবস্থায় আরেক ব্যক্তির সঙ্গে শা’রীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত ভিডিও দেখিয়ে তাকে ছেড়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত সেলিমের কথায় কোনো যুক্তি পায়নি।

আজ বুধবার দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে, ৩১ বছর বয়সী সেলিম ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নুরহিদায়তি ওয়ার্টনো সুরতা নামে নিজের ইন্দোনেশিয়ান বান্ধবীকে হ’ত্যা করেন সেলিম। বিচারে তাকে ‘বাধ্যতামূলক মৃ’ত্যুদ’ণ্ডে’ দ’ণ্ডিত করেছেন আদালত। হ’ত্যার শিকার নুরহিদায়তি ওয়ার্টনো সুরতা সিঙ্গাপুরে একজন গৃহকর্মী ছিলেন। তার সঙ্গে সেলিমের সম্পর্ক হয় ২০১২ সালের মে মাসে। তখন থেকে প্রতি রোববার তারা একসঙ্গে থাকতেন।

দ্য স্ট্রেইট টাইমস তাদের প্রতিবেদনে আরও বলেছে, এরমধ্যে সুরতা আরেক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে জানতে পেরে সেলিম বাংলাদেশে তার মাকে মেয়ে খুঁজতে বলেন। কয়েকদিনের মধ্যে সেলিম-সুরতার সম্পর্ক আবার জোড়া লাগে। এর কিছু দিন পর সেলিম-সুরতার ঝ’গড়া হয়। একটি হোটেলে রাত যাপনের সময় সেলিম তার বান্ধবীর মুখ তোয়ালে দিয়ে চে’পে ধরেন। পরে দম আ’টকে গেলে ছেড়ে দেন। পরে তাদের ঝগ’ড়া হয়।

২০১৮ সালের অক্টোবরে সুরতা সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে আরেক বাংলাদেশির সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। এর কয়েকদিন পর ওই ব্যক্তিকে হোটেলে ডেকে শা’রীরিক সম্পর্কও স্থাপন করেন সুরতা। এ খবর পেয়ে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সুরতার সঙ্গে দেখা করেন সেলিম। কথা কা’টাকা’টির এক পর্যায়ে হোটেলে বসেই মুখে বালিশচা’পা দিয়ে বান্ধবীকে মে’রে ফেলেন। ওই দিন রাত সোয়া ১০টার দিকে তার লা’শ উ’দ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সকালে গ্রে’প্তার হন সেলিম।

সেলিম খু’নের কথা স্বীকার করে আদালতকে জানিয়েছেন, সুরতার প্র’তারণার জন্য তিনি তাকে খু’ন করেন। সুরতা তাকে বলেছিলেন, অন্য পুরুষের সঙ্গে সে শা’রীরিক সম্পর্ক গড়েছে। সে এও বলেছে, ওই লোক বিছানার তার চেয়ে ভালো। অর্থও বেশি। বিশ্বাস না হলে তাদের যৌ’ন সম্পর্কের ভিডিও পাঠাতে চান সুরতা।

আজ বুধবার সুরতা হ’ত্যা মা’মলার শুনানিতে প্রসিকিউটররা সেলিমের কথা আমলে নেননি। বরং তাকে ‘ইচ্ছাকৃত খু’নের’ দায়ে অভিযুক্ত করে বাধ্যতামূলক মৃ’ত্যুদ’ণ্ড দেওয়ার আবেদন করেন। আদালত প্রসিকিউটরদের আবেদন আমলে নিয়ে মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের রায় দেন।

ad

পাঠকের মতামত