334471

প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন সুস্থ স্বামী, স্ত্রী তুলছেন বিধবার!

নিউজ ডেস্ক।। সুস্থ সবল স্বামী পাচ্ছেন প্রতিবন্ধীর ভাতা, অপরদিকে সেই স্বামীকে মৃ’ত সাজিয়ে বিধবা ভাতার নিয়মিত টাকা তুলছেন স্ত্রী। এঘটনা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের আমুদপ্রর গ্রামে। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক প্রণীত উপকারভোগীদের তালিকায় স্বামী-স্ত্রীর দুজনের নামই রয়েছে।

সচল ‘প্রতিবন্ধী’ ব্যক্তির নাম মো. আবদুল হান্নান। তার স্ত্রীর নাম লাভলী আক্তার। তারা দুজন ওই ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের আমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত সোমবার বিকালে ওই গ্রামে অবস্থিত আবদুল হান্নানকে পাওয়া যায়। হান্নান নিজেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বলে দাবি করেন। তবে তার এলাকার ইউপি সদস্য আঞ্জু মিয়া জানান, হান্নান দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নন। তিনি একজন কৃষক। চাষবাস করেন।

হান্নানের কাছে প্রশ্ন করে জানা যায়, লাভলী আক্তার তার স্ত্রী। তার স্ত্রী ‘বিধবা’ হিসেবে সরকারি ভাতা পান কি-না জানতে চাইলে স্বামী হান্নান বলেন, ‘কি একটা পাইছে কিন্তু হেইডা কি তা আমি কইতাম পারতাম না’। বাড়ির ভেতরে গিয়ে লাভলীর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি চুপ থাকেন। লাভলীর অন্য স্বজনরা বলেন, সরকারি ভাতা পেতে হলে একটা কিছু বলতে হয়। তাই বলে স্বামী থাকা সত্ত্বেও কোনো নারী নিজেকে বিধবা বলতে পারেন কি-না জানতে চাইলে তারা চুপ থাকেন। লাভলীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা স্বামীর কাছে ক্ষ’মা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

মোয়াজ্জেপুর ইউনিয়নের উপকারভোগীরা ভাতা উ’ত্তোলন করেন কৃষি ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে। গত সোমবার বিকালে ওই শাখায় গিয়ে জানতে চাইলে ব্যবস্থাপক মো. আবদুল বারী বলেন, লাভলী আক্তার গত ২৬ জুলাই ব্যাংকে এসে ভাতার অর্থ নিয়ে গেছেন।

নান্দাইল উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন বয়সের প্রায় চার হাজারের বেশি মানুষ প্রতিবন্ধী ভাতা পান। সমাজসেবা কার্যালয়ের তালিকায় সুস্থ মানুষকে প্রতিবন্ধী সাজিয়ে উপকারভোগীর পাসবই দেওয়া হয়েছে। উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের এধরনের প্রায় ছয়জন সুস্থ লোকের কাছে প্রতিবন্ধী ভাতা উ’ত্তোলনের পাসবই পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পাসবইগুলো ফেরত নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলেও দোষীদের বি’রুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

নান্দাইল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইনসান আলী বলেন, আমি অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। তারপরেও ব্যবস্থা নিচ্ছি। উৎস: কালের কণ্ঠ।

ad

পাঠকের মতামত