312335

এবার সরকারি হাসপাতালে ৩ বছর ধরে রোগীকে ধর্ষণ করলো চিকিৎসক

নারায়ণগঞ্জের একটি সরকারি হাসপাতালে এক রোগীকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তিন বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ডা. আমিনুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যার হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার। তিনি জেনারেল কলোরেস্টাল, ল্যাপারোস্কপিক ও প্লাস্টিক সার্জন এবং বার্ন বিশেষজ্ঞ। নির্যাতনের শিকার ওই রোগী বর্তমানে অন্তসত্ত্বা।

এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার না পেয়ে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দীনের আদালতে ওই নারী ডা. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ওই নারী থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই থাইরয়েডের চিকিৎসার জন্য ডা. আমিনুল ইসলামের খানপুরের চেম্বারে যান। ওই বছরের ২০ আগস্ট আবার ডাক্তারের কাছে গেলে কিছু টেস্ট করতে হবে বলে বেডে শুতে বলেন। এরপর ইমার্জেন্সি ইনজেকশন নিতে হবে বলে ডা. আমিনুল ইসলাম বাদীকে ইনজেকশন দেন। ইনজেকশন দেওয়ার পর ওই নারী অচেতন হয়ে যান। পরে ডাক্তার তাকে ধর্ষণ করে। ওই নারীর চেতনা ফিরলে তিনি চিৎকার করলে ডাক্তার ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর প্রতি সপ্তাহে তার চেম্বারে আসতে বলেন। এই ঘটনার পর ওই নারীকে ফোন দিয়ে ভয় দেখাতে থাকেন চিকিৎসক। বাদী বিবাহিত ও আত্মসম্মানের ভয়ে বিষয়টি স্বামীর কাছে লুকিয়ে রাখে সেই ঘটনা। পরে তার স্বামীর কাছে ডাক্তার পিয়ন দিয়ে খবর পাঠায় যে তার স্ত্রীর কিছু টেস্ট করাতে হবে। ওই নারী তার বোনকে সঙ্গে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান। এরপর ডাক্তার তার বোনকে চেম্বার থেকে বের করে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এভাবে কয়েক দফা ধর্ষণে ওই নারী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ ঘটনা নারীর স্বামী বুঝতে পেরে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

বাদীর আইনজীবী শরীফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তিন বছর ধরে ধর্ষণ করেছে ডা. আমিনুল। এ ঘটনায় আদালতে মামলাটি গ্রহণ পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ডা. আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ad

পাঠকের মতামত