312331

যৌতুক যন্ত্রণায় নিজেকে শেষ করে দিলেন তুষা

প্রেমকে সার্থক করতে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌস তুষা। কিন্তু স্বার্থপর সেই প্রেমিকের আসল রূপ ধরা পড়ল বিয়ের পর। তুষার ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। যৌতুকের মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজেই, নিজেকে শেষ করে দিলেন তুষা। সবাইকে ফাঁকি দিয়ে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউপির বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোহাম্মদ রফিক বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন।

মামলায় ইমতিয়াজ হোসেন শিবলু তার বাবা জাফর ইকবাল, মা মাজেদা বেগম ও শিবলুর মামা দেলোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়।

উপজেলার শীতলপুর লালবাগ এলাকার ইমতিয়াজ হোসেন শিবলু প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মধ্যম বাঁশবাড়িয়া এলাকার মোহাম্মদ রফিকের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস তুষার সঙ্গে। গত বছরের ২৮ নভেম্বর গোপনে কোর্ট ম্যারেজ করে তারা। এর কিছুদিন পর অবস্থা পাল্টে যেতে থাকে। শিবলু ও তার পরিবার তুষার পরিবারেরকে যৌতুকের জন্য মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। যৌতুক হিসাবে পাকা ঘর করে দেয়া, দশ পদের ফার্নিচার ছাড়াও নগদ টাকা ও অনুষ্ঠানে দুই হাজার লোকের খাওয়ার ব্যবস্থার ইত্যাদি দাবি জানায়। অন্যথায় তালাক দেবে বলে জানিয়ে দেয়।

এ নিয়ে শিবলুর মামা দেলোয়ার হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলেও জানান নিহতের বাবা।এ নিয়ে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। আর তা সহ্য করতে না পেরে রাত ৮টার দিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন জান্নাতুল ফেরদৌস।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত