309242

নিজের শহরে সমাহিত হবেন জেনারেল সোলেইমানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মরদেহ তার নিজের শহর কেরমানে পৌঁছেছে। সেখানেই মঙ্গলবার তাকে সমাহিত করা হবে। এর আগে সোমবার রাজধানী তেহরানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশটির শীর্ষ এই জেনারেলের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তেহরানে সে সময় লাখো মানুষের ঢল নামে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নেতৃত্বে নিহত এই জেনারেলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। জেনারেল সোলেইমানির সঙ্গে বিপ্লবী গার্ডের আরও পাঁচ সদস্যেরও জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ কেরমানের রাস্তায় জড়ো হয়েছেন। ইরানের জাতীয় পতাকা এবং জেনারেল সোলেইমানির ছবি হাতে নিয়ে কাঁদছিলেন তারা। আজ এই কমান্ডারের দাফনের মধ্য দিয়ে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের সমাপ্তি ঘটবে। জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যুর পর দেশব্যাপী তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছিল।
জেনারেল সোলেইমানি (৬২) ইরানের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় কেরমান প্রদেশের একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই জীবিকার তাগিদে তাকে কাজ শুরু করতে হয়। কাজের শেষে যেটুকু সময় পেতেন ততটুকুই তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পেছনে ব্যয় করতেন।

১৯৭৯ সালে ইরানি বিপ্লবের সময় দেশটির সেনাবাহিনীতে তরুণ সোলেইমানির উত্থান ঘটে। যদিও স্কুলের পড়াশুনা শেষ করতে পারেননি এই জেনারেল।

১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধে ইরাক সীমান্তে ইরানি বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সোলেইমানি। সে সময় তাকে জাতীয় বীর আখ্যা দেওয়া হয়। তারপর থেকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি এই জেনারেলকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন তিনি।

তার মৃত্যুতে পুরো ইরানজুড়েই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাকে ইরানিরা কতটা ভালোবাসেন তা তার জানাজার জনস্রোত থেকেই অনুমান করা যায়। এমনকি তার শহরে তার দাফনকে কেন্দ্র করেও হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে।

ad

পাঠকের মতামত