307237

‘বাসে একটা হাত, একদম আমার কোমরের নিচ বরাবর’

বাসে অনেক নারীই যৌন হয়রানির শিকার হন। তবে যুগ বদলাচ্ছে। এখন নারীরা অনেক সচেতন। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করেন তারা। এমনই একটি ঘটনার বিবরণ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হল: নানুবাসা থেকে ফিরছিলাম একাই৷ বমি হয় বলে, বাসে জানলার পাশের সিট ছাড়া বসতে পারি না। গাড়িতে খুঁটিনাটি বিষয়েও চোখ কান খোলা রাখা আমার একটা স্বভাব (মূলত নিজের সেফটির জন্যই, তাছাড়া এসব করলে বমির কথা ভুলে যাই)।অর্ধেক রাস্তা পেরিয়ে সিটের নিচের দিকে নড়াচড়া ফিল করছিলাম। বাসের ঝাঁকুনি ভেবে প্রথম ইগ্নোর করে গেছি। কয়েক সেকেন্ড চুপচাপ খেয়াল করলাম। নাহ! এটা কারো হাত! একদম আমার কোমরের নিচ বরাবর!

খুব স্বাভাবিকভাবেই পাশ ফিরিয়ে দেখে নিলাম। আমার বাপের চেয়েও বয়স্ক ব্যক্তি। দিব্যি হাতের পাঁচটা আঙুল ই আমার গায়ে, তাও এমন জায়গায়! দাঁড়িয়ে ওর কলার ধরে নাক বরাবর ঘুষি মারার মত গুন্ডি মেয়েই আমি। কিন্তু এরকম কিছু না করে আরো এক-দেড় মিনিট সময় নিলাম। এরপর হিজাব থেকে দুইটা স্ট্রেইট পিন খুলে নিলাম। না তাকিয়েই গায়ের সব জোরে বিঁধিয়ে দিয়ে চেপে ধরে রেখেছি! চিৎকার করে উঠেছিল। আমি পিন ছেড়ে দিয়েছি আঙুলেই। আধ ইঞ্চিমত ঢুকে গেছিলো দুই আঙুলে। সাথে সাথে উঠে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কি হয়েছে আংকেল? আপনার হাত আমার সিটে কিভাবে আসছে?

উনার অস্বীকার করার মুখ ছিল না। কারণ, হাত আমার সিটে এসেছে বলেই পিন বিঁধিয়ে দিতে পেরেছি, এটা বাসের সবার কাছে স্পষ্ট। কয়েকটা ছেলে খুব গালাগাল করলো তাকে। গায়েও হাত দিতে যাচ্ছিল, পরে নেক্সট স্টপে নেমে গেল লোকটা। ওরে আমি থাপ্পড় দিতে পারি নাই, বা জুতার বাড়ি খাওয়াই নাই। তবুও আমার কোন আফসোস নাই। কারণ, আমি যে দুই ছোবল দিয়েছি, তার মেয়ে দেখে যখন জিজ্ঞেস করবে, কি হয়েছে বাবা? বউ যখন জিজ্ঞেস করবে, কি হইছে হাতে? তখন তার ভেতরের পশু তাকে খাবে।

ad

পাঠকের মতামত