292153

পাওনা টাকার জন্য চাপ দেয়ায় ব্যবসায়ী সেলিমকে হত্যা

জেলা প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী (৫২) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টনের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এর আগে মোহাম্মদ আলী ও সোলায়মানকে তিনদিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে সোলয়মানকে আদালতে প্রেরণ করা হলে পরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে আদালত। আর মূলহোতা মোহাম্মদ আলী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে মোহাম্মদ আলী আদালতকে বলেছেন, ব্যবসায়িকভাবে চারদিকে দেনায় জর্জরিত হয়ে তিনি পাগল প্রায়। এরই মধ্যে সেলিম চৌধুরী পাওনা দুই লাখ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টাকা দিতে না পারায় সেলিম চৌধুরীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। পরে ফয়সালসহ আরও কয়েকজন মিলে সেলিম চৌধুরীকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে নিজের ঝুটের গোডাউনে মাটি খুঁড়ে মরদেহ পুঁতে ফেলা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই মামুন আল আবেদ জানান, ফয়সালের পর সেলিম হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। শুধুমাত্র পাওনা দুই লাখ টাকা আত্মসাতের জন্য সেলিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তারা মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে মাটিতে পুঁতে রাখে। হত্যার পর কেউ যেন মোহাম্মদ আলীকে সন্দেহ না করে সেজন্য গোডাউনে ফয়সাল সব সময় ঘুমিয়ে থাকে। মরদেহ মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ফয়সালকে রাতে গোডাউনে ঘুমানোর জন্য বলেন মোহাম্মদ আলী।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ঝুট ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী। ওইদিন বেলা ১১টায় স্ত্রী রেহানা আক্তার রেখার সঙ্গে টেলিফোনে তার সর্বশেষ কথা হয়। স্ত্রী রেখা টেলিফোন করলে সেলিম জানান, তিনি ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে অবস্থিত ইস্টার্ন ব্যাংকে রয়েছেন। পরে দুপুর ২টায় খাবারের জন্য আবারও ফোন দিলে সেলিমের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ছয়দিন পর গত ৬ এপ্রিল ফতুল্লার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রেখা। দু’দিন পর গত ৮ এপ্রিল এ ঘটনায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। ১০ এপ্রিল ফতুল্লার ভোলাইল এলাকায় আরেক ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর গোডাউনের মেঝে খুঁড়ে সেলিম চৌধুরীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ad

পাঠকের মতামত