292135

বাবার পর ছেলেও কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত

বগুড়ায় কথিত দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে স্বর্গ (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত যুবকের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরের উপশহর-ধরমপুর সংযোগকারী ধুন্দল ব্রিজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে সুবিল খালপাড়ে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্গ (২২) বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া শহীদ নগর এলাকার মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে। তার বাবা লিয়াকত পেশাদার খুনি হিসেবে পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিল। ২০০৪ সালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ধুন্দল ব্রিজ এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনে পুলিশের কয়েকটি দল সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড গুলি এবং একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এবং সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান ওই যুবককে উদ্ধার করেন। তারা টহল পুলিশের গাড়িতে তাকে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে উপস্থিত লোকজন ওই যুবককে ঠনঠনিয়া শহীদ নগর (খান্দার) এলাকার সন্ত্রাসী স্বর্গ হিসেবে শনাক্ত করে বলে জানায় পুলিশ।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, পুলিশের রেকর্ডে দেখা যায় নিহত স্বর্গের নামে বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর থানায় খুন, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে সাতটি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি শাজাহানপুরের জামাদারপুকুর এবং শহরের খান্দার-মালগ্রাম এলাকায় সে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। জানা গেছে, সম্প্রতি স্বর্গ জামিনে মুক্তি পেয়ে বগুড়া সদর থানার সাবেক এক ওসিকে হত্যার হুমকি দেন। ২০০৪ সালে তার বাবা লিয়াকত ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার সময় ওই ওসি বগুড়া সদর থানায় কর্মরত ছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত