289896

শাবি ভিসিকে ঢাবি শিক্ষিকার অনুরোধ, প্রতীক যেন ন্যায়বিচার পায়

নিউজ ডেস্ক।। তাইফুর রহমান প্রতীক চলে যাওয়ার প্রায় তিন মাস হতে চলেছে। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাইনি। প্রতীকের সাথে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইবি বিভাগের একজন শিক্ষক যে অন্যায় করছে আমরা তা মাননীয় ভিসি স্যারকে জানিয়েছিলাম। উনি আমাদের আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি বিষয়টি দেখবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে সেই শিক্ষক ভিসি স্যারের অনুরোধ না রেখে উল্টো আরো কয়েকজন শিক্ষকদের নিয়ে প্রতীককে হুমকি দিয়েছে, তাকে সুপারভাইজার, রেকমেন্ডেশন লেটার দিবে না বলে।

সুপারভাইজার না দেয়া, নম্বর কম দিয়ে তার (প্রতীক) রেজাল্ট Hons. ১ম (3.82) থেকে MS এ ৭ম (3.08) এ নামিয়ে এনেছেন সেই কয়েকজন শিক্ষক। এমন কী শেষমেষ প্রতীককে USA ভর্তি হওয়ার জন্য রেকমেন্ডেশন লেটার পর্যন্ত দেননি। যে যে শিক্ষকরা প্রতীকের সাথে অন্যায় করেছে তাদের নাম জিইবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের ফোন করে জানিয়েছে। এমনকি প্রতীকের বন্ধু নাফিসা প্রতীক মারা যাওয়ার পরদিন ১৪ জানুয়ারি (Monday) আমাকে নাম পাঠিয়েছে।

আমি কখনোই কারোর ইনবক্সের ছবি তুলে প্রকাশ করি না। আমাকে ক্ষমা করবেন, এই বিষয়ে প্রমাণ হিসেবে ছবি দেয়াটি এক প্রকার বাধ্য হয়ে। এই তথ্য আমার নিজের বয়ান নয়। তাই আমরা পরিবার থেকে চাই, মাননীয় উপাচার্য আপনার গঠিত তদন্ত কমিটি যেন তথ্যগুলো আমলে নেন। হয়ত এতে তাদের তদন্ত করতে কিছুটা সুবিধে হবে।

প্রতীক আর কোনদিন ফিরে আসবে না। কিন্তু আর কোন মেধাবী ছাত্র হারিয়ে যাক আমরা চাই না। আমরা কয়েকজন শিক্ষকের দুর্নীতির দায় পুরো শিক্ষক সমাজ নিতে চাই না। মাননীয় ভিসি আপনি জানেন, আমি নিজে একজন শিক্ষক। আপনি আমাদের শিক্ষক সমিতির সম্মানীত সভাপতি ছিলেন। আপনি আমাদের প্রতিনিধি।

তাই মাননীয় ভিসি আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, প্রতীকের মত মেধাবী ছাত্রের সাথে কয়েকজন শিক্ষক যে অন্যায় করেছে আপনি এর সুষ্ঠু তদন্তের দেখভাল করুন। যে সকল শিক্ষকের নাম আমাদেরকে জানানো হয়েছে তারা যদি দোষী হয়ে থাকে তাহলে তাদের শাস্তি দিন। প্রতীক যেন ন্যায়বিচার পায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি… শান্তা তৌহিদা, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তাইফুর রহমান প্রতীকের বোন।

বি: দ্র : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী তাইফুর রহমান প্রতীকের আত্মহত্যার তিনমাস পেরিয়েছে। আলোচিত ওই ঘটনার পর বিষয়টিকে ‌‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’ দাবি করে দোষীদের শাস্তির কথা জানিয়েছিলেন প্রতীকের পরিবার ও সহপাঠীসহ অনেকে। এরপর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি। পরিবারের সদস্যদের দাবি প্রতীককে ইচ্ছা করে শিক্ষকরা কম নম্বর দিয়েছেন। এতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। উৎস:  ক্যাম্পাসলাইভ

ad

পাঠকের মতামত