263202

সোহরাওয়ার্দীতে অগ্নিকান্ডঃ চিকিৎসক, ছাত্র-ছাত্রীদের সাহসিকতায় বেঁচে যায় শত শত মুমূর্ষু রোগী

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আগুনের ঘটনায় অকুতোভয় নবীন চিকিৎসক ও ছাত্র ছাত্রীরা অসম সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তারা নিজের প্রাণ তুচ্ছ করে বাঁচালেন শত মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ ।চিকিৎসকদের এই প্রাণ রক্ষা কর্মসূচি নৈমিত্তিক। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের অনেক চিকিৎসকদের আক্ষেপ তাদের এহেন আত্মত্যাগের পরেও তাদের সমালোচনায় মুখর সাধারণ মানুষ ।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তরোগ বিভাগের রেসিডেন্ট ও সঙ্গীত শিল্পী ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল তার ফেসবুক প্রফাইলে লিখেন,

“সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি কনসাল্ট্যান্ট ডাঃ ফারহান উদ্দিন আহমেদ ভাইয়ের স্ট্যটাস পড়ে জানলাম অভাবনীয় অতুলনীয় মানবিকতায়, সাহসে আর বুদ্ধিমত্তায়, চিকিৎসকবৃন্দ, সেবিকাবৃন্দ, হাসপাতালের ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ, কর্মচারীবৃন্দ, ছাত্রলীগের ত্যাগী কর্মীবৃন্দের বদৌলতে বেঁচে গেল অনেক অসহায় মুমূর্ষু প্রাণ।সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের হাত থেকে অসহায় রোগীদের রক্ষা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া সকল চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রীদের প্রতি নত মস্তকে কৃতজ্ঞতা জানাই।”

তিনি আরও বলেন,এ জাতীয় অগ্নিকান্ডের কথা মনে হলে গার্মেন্টস কর্মীদের কথা মনে পড়ে।কেবল ভাবছি আজ একটি গার্মেন্টস এ আগুন লাগলে কি হতো? তাদের কর্মকর্তারা কি ছুটে যেতেন কর্মীদের উদ্ধার করতে? একজন কর্মীও অগ্নিদগ্ধ হলোনা – এমন সংবাদ কি পাওয়া যেত?সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদাহরণ হোক। মানবিক সমাজ গড়ে উঠুক নানারকম আগুনে পোড়া বাংলাদেশে।এদিকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শুধু চিকিৎসকরাই না এগিয়ে এসেছিলো শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ।এ ব্যাপারে শেকৃবির হর্টিকালচার বিভাগের সহযোগী অধ্যপক ডা. এ এ জামাল উদ্দিন বলেন, আমি গর্বিত

কাল যখন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুন জ্বলছিল, সরকারের সকল বাহিনীর পাশাপাশি আমার প্রিয় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টরাও সমান তালে কাজ করেছে আগুন নিভাতে, আর হাসপাতালের রুগিদেরকে বাঁচাতে …।হে আমার সন্তানেরা, আমি তোমাদের জন্য গর্বিত.

ad

পাঠকের মতামত