192624

মৃত স্বামীর দেহ নিয়ে স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একা স্ত্রী!

এই ঘটনাটি ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি রেল স্টেশনের। রেল কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিকতার সাক্ষী হয়ে রইলেন অন্যান্য যাত্রীরা। গতকাল সোমবার বিকেলে ধূপগুড়ি রেল স্টেশনে ৪.১০ মিনিটে পৌঁছয় কামরূপ এক্সপ্রেস। যাত্রী সোনা ভানু খাতুন বাকি যাত্রীদের সাহায্য নিয়ে মৃত স্বামী আবদুল লতিফকে ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নামিয়ে আনেন। সঙ্গে ছিলেন মৃত আবদুল লতিফের ভাইপো।

তাঁদের বক্তব্য, ফালাকাটা স্টেশন পার হওয়ার পরেই চলন্ত ট্রেনে অসুস্থ আবদুল লতিফের মৃত্যু হয়। এর পরেই ধূপগুড়ি স্টেশনের রেল কর্তৃপক্ষের কাছে স্বামীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া জন্যে অনুরোধ করেন স্ত্রী সোনা ভানু খাতুন। কিন্তু কোনও রেলকর্মী সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি।

জানা গিয়েছে, ট্রেনে করে স্বামীর চিকিৎসার জন্যে অসমের বরপেটা জেলার ধূপালপাড়া থেকে কলকাতায় যাচ্ছিলেন ভানু। কিন্তু মাঝপথেই আবদুল লতিফের মৃত্যু হয়। ট্রেন থেকে তাঁর দেহ ধূপগুড়ি স্টেশনে নামিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী ও ভাইপো।

ধূপগুড়ির স্টেশন মাস্টার অমিত কুমার বলেন, ‘১৫৯৬০ কামরুপ এক্সপ্রেসে করে ওই যাত্রীরা আসছিলেন। মাঝপথে আবদুল লতিফ নামে যাত্রীর মৃত্যু ঘটে বলে দাবি করে পরিবার। তবে নিয়ম মোতাবেক পুরো ঘটনাটি আরপিএফ ও জিআরপিকে মেমো দিয়ে জানানো হয়। অসহযোগিতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

স্বামী আবদুল লতিফের দেহ অসমে নিয়ে যেতে চান ভানু। ময়নাগুড়ি জিআরপির ওসি শুভজিৎ ঝা বলেন, ‘মৃত্যুর কারণ জানতে মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। তার পরেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেহটি।’

সূত্রঃ এবেলা।

ad

পাঠকের মতামত