187289

তারকাদের কার দেনমোহর কত

দশ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন শখ ও নিলয়। বনিবনা না হওয়াতে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত অনেকটা চুরান্ত হয়ে গেছে। বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ আসলেই দেনমোহর অনেক গুরুত্ব বহন করে।

মুসলিম আইনে, বিয়ের সময় স্ত্রীকে দেনমোহর প্রদান করতে হবে। এটা স্বামী কর্তৃক প্রদেয় স্ত্রীর অধিকার। দেনমোহর আদায় করা ফরজ এবং এটা বিয়ে বৈধ করার মাধ্যমও বটে। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমানে দেনমোহর সামাজিক স্ট্যাটাসের পরিচায়ক হয়ে গেছে। হাতেগোনা কয়েকজন বাদে বিয়েবিচ্ছেদজনিত কারণ ছাড়া স্ত্রীকে খুশি মনে দেনমোহর প্রদান করেছেন এমন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাধারণ বিয়ের মত তারকাদের বিয়েতেও দেনমোহর অনেক গুরুত্ব বহন করে। আর তারকা দম্পতির দেনমোহন নিয়ে মানুষের বেশ আগ্রহও থাকে। দেনমোহন নিয়ে শোবিজের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলো..

শখ- নিলয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে শরনাপন্ন হই শখের। দেনমোহর নিয়ে মুখ খুলে শখ। তিনি জানান, ‘দেনমোহর নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যাথা নেই। আমরা আলাদা থাকছি। বিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু যে টাকা দেনমোহর ধরা হয়েছিল। সেটা আমার দরকার নেই। আমি নিজেও স্বাবলম্বী। ‘

শখের দেনমোহর নিয়ে মাথাব্যাথা না থাকলেও প্রাপ্ত পাওনা বুঝে নিয়েছেন সারিকা, তিনি বলেন‘ দেনমোহরের পরিমাণটা ঠিক বলা যাবে না। তবে সেটা দশ লাখের উপর। এ নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়। প্রথমে দিতে চেয়েছিল না। পরবর্তীতে কোনোভাবে টাকাটা আদায় করা হয়। আর এই টাকাটা আমার মেয়ের সেইফের জন্যই। আমার নিজের চলার জন্য যা দরকার তা আমি নিজেই আয় করতে পারি। সন্তান তো শুধু আমার নয়। সন্তান তারও। সেক্ষেত্রে সন্তানের সেফটির জন্য অর্থটা নিতে বাধ্য হয়েছি। ’

ছয় বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটিয়েছিলেন কন্ঠশিল্পী সালমাও। সময় বিয়ের দেনমোহর বাবদ ২০ লাখ টাকা সালমাকে বুঝিয়ে দেন শিবলী। গত বছরের ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতেই সমঝোতার ভিত্তিতে তালাকনামায় সই করেন দুজন। সে সময়ই দেনমোহরের অর্থ বুঝিয়ে দেন শিবলী।

তাহসান- মিথিলার সংসারও ভেঙ্গে গেল। দেনমোহর সেসময় পাঁচ লাখ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। বিচ্ছেদের পর সে টাকা নিতে আগ্রহী নয় মিথিলা। তবে একমাত্র মেয়ের ভবিষ্যত তাহসান চিন্তা করবেন বলে তিনি মনে করেন। নিজেকে স্বাবলম্বী বলে তিনি মনে করেন।

সুবর্ণা মুস্তফা-সৌদের বিয়ে হয়েছে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে। এমন তথ্য জানা গেছে বদরুল আনাম সৌদের কাছ থেকে।

সুজানা- হৃদয় খানের বিয়ের দেনমোহরও ধার্য করা হয় ১০ লাখ টাকা। দুই পক্ষ সমঝোতার মাধ্যমে বিবাহ-বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। সুজানা দেনমোহরের টাকা পেয়েছেন বলে নিজেই বলেছেন।

শাকিব খান – অপুর দেনমোহর এ সময়ে আলোচনায়। দেনমোহর হিসেবে শাকিব বলছেন সাত লাখ এক টাকা, অন্যদিকে অপু বলছেন দেনমোহরের পরিমাণ ছিলো এক কোটি সাত লাখ টাকা! অর্থের দিক দিয়ে যা আকাশ-পাতাল ব্যবধান। প্রশ্ন উঠছে, দেনমোহর নিয়ে অসত্য উচ্চারণ কে করছেন? শাকিব না অপু? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অপুর কাছে বিয়েল কোনো কাগজপত্র নেই। শাকিব বলেছে দরকার হলে সে কাগজ দেখাবেন। তার কথাই সত্যি।

অভিনেত্রী নোভার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছে পরিচালক রায়হান খানের। দেনমোহর পেয়েছে কিনা এ প্রশ্ন করতেই নোভা বলেন, ‘ও নিজেই চলতে পারে না। আমাকে আর কি দেনমোহর দিবে!’

বাঁধনও পায়নি তাঁর প্রাপ্ত অর্থ। তাঁর ভাষ্যে, ‘আমার মেয়ের জন্য এ লড়াই আমি লড়ে যাবো। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে অনেক আগে। তখনই কথা ছিল আমার দেনমোহরের পাওনা বুঝিয়ে দিবে। কিন্তু তা আর দেয়নি। এটা আমার সন্তানেরও প্রাপ্য’।

বিয়ের সময় নিশ্চয়ই বিচ্ছেদের ভাবনা মাথায় থাকে না। তারপরও তারকারা অনেক সময় দেনমোহরের জন্য অধিক অর্থ ধার্য করে থাকে। ব্যাপারটি দুভাবেই দেখা যায়, বাংলাদেশের অনেক তারকাই আছেন নামমাত্র অর্থে দেনমোহর ধার্য করেছেন। সুবর্ণা মুস্তফা ও হুমায়ূন ফরিদী তাদের বিয়েতে ১ টাকা ধার্য্য করেছিলেন। ভালবাসার সে বিয়েও ভেঙ্গে গিয়েছে। আবার, দেনমোহর থেকে প্রাপ্ত অর্থের উপর অনেক সময়ই তারকারা ভরসা করে থাকে না। উৎস: বাংলা ইনসাইডার

ad

পাঠকের মতামত