185224

কারাগারে ধর্ষণ মামলার আসামীর মৃত্যু

বরিশাল জেলা কারাগারে সিরাজুল ইসলাম নামে এক ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিরাজুল বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত।

শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ৮ ডিসেম্বর রাত ৮টা ১০ মিনিটে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় সিরাজকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
১০ ডিসেম্বর রাত ১টা ৩০মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর প্রমাণ পত্রে ‘ফিজিক্যাল এ্যাসল্ট’ শব্দটি উল্লেখ রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে পুলিশ।

গত ৩ ডিসেম্বর সিরাজুল ইসলামকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পিরোজপুর থেকে তাকে বরিশাল আনা হয় ৪ ডিসেম্বর। আদালতে সোপর্দ করা হয় ৫ ডিসেম্বর। সেদিনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির প্রদানের পর সিরাজকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৯ নভেম্বর বরিশালের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তারকে প্রেমের কথা বলে বরিশাল থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নিয়ে যায় সিরাজ। ওইদিন রাত ১০টার দিকে সিরাজ তার সহযোগী নাজমুল ইসলাম নয়ন এবং হাফিজ সাদিয়াকে পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বলেশ্বর নদীতে ফেলে দেয় ।

তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সিরাজুল ইসলাম ও মোঃ হাফিজুরকে ঘটনার ১৩দিন পর ৩ ডিসেম্বর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করে। এরআগে ২ ডিসেম্বর বরিশালের কোতোয়ালী থানায় সিরাজ সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে সাদিয়ার বাবা আলমগীর খান বরিশাল কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে পুলিশের হেফাজতে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার ফরহাদ সরদার। চ্যানেল আই অনলাইন

ad

পাঠকের মতামত