345227

দ্বিগুণ দামে সেই খবিরের কয়েন কিনলেন ঢাকার ব্যবসায়ী

মাগুরার মহাম্মদপুর উপজেলার সেই সবজি ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম খবিরের সব কয়েন কিনে নিয়েছেন রাজধানী ধানমন্ডির মিকা ফার্মা কেয়ার লিমিটিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুল করিম টিপু। ৫৬ হাজার টাকার ধাতব মুদ্রার বিনিময়ে তিনি খবিরের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন।

গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খবিরের হাতে ধাতবমুদ্রার প্রায় দ্বিগুণ মূল্য দিয়ে কয়েনগুলো কিনে নেন নিয়ামুল করিম। তিনি জানান, কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখে বিপাকে পড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি কয়েনগুলো প্রায় দিগুণ দামে কিনে নিয়েছেন।

নিয়ামুল আরও জানান, এই কয়েন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাটির ব্যাংকে ঢুকিয়ে দরিদ্র শিশুদের মধ্যে বিতরণ করবেন। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে সঞ্চয়ী হওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন।

খবিরের কাছ থেকে কয়েনগুলো কিনে নেওয়ার সময় মিকা ফার্মা কেয়ার লিমিটিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুল করিম টিপুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদপুর ইউএনও রামানন্দ পাল, মহম্মদপুর সদরের আমিনুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রেসক্লাবের সভাপতি বিপ্লব রেজা বিকো।

ইউএনও রামানন্দ পাল বলেন, ‘খবিরের কয়েন আমরা ব্যাংকে জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। বিষয়টি ছিল সময়সাপেক্ষ ও ঝামেলাপূর্ণ। কয়েনের বিনিময়ে একসঙ্গে প্রায় দ্বিগুণ টাকা পাওয়ায় দরিদ্র ব্যবসায়ীর অনেক উপকার হলো।’

কয়েন বিক্রির সময় আনন্দে কেঁদে ফেলেন সবজি ব্যবসায়ী খবির। তিনি বলেন, ‘কয়েনগুলো নিয়ে আমার রাতে ঘুম আসত না। এত পয়সা জমা করেছিস কেন? সবাই ভয় দিত তোরে ধরে নিয়ে যাবে। আমার ব্যবসার সব পুঁজি চলে গেছিল এই পয়সার মধ্যে। জীবনের প্রথম একসঙ্গে এক লাখ টাকা হাতে পেলাম। আমার অনেক উপকার হলো।’

উল্লেখ্য, ১০ বছর ধরে ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ টাকা ও ২ টাকার প্রায় ছয় মণ ওজনের ৬০ হাজার টাকার ধাতব মুদ্রা জমান। এই কয়েনের কার্যত লেনদেন না থাকায় তিনি বিপাকে পড়েন খবির। ৪ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার পরও খবিরের কাছে আরও ৫৬ হাজার টাকার ধাতব মুদ্রা ছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মহম্মদপুর সদর সোনালী ব্যাংক শাখা খবিরের অ্যাকাউন্টে প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে জমা নেওয়া শুরু করে। এ পর্যন্ত চার হাজার টাকা জমা দেন তিনি।

ad

পাঠকের মতামত