331256

সিঙ্গাপুরের ক্ষমতায় আবারও লি পরিবার

নিউজ ডেস্ক।।  সিঙ্গাপুরের জাতীয় নির্বাচনে আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল ক্ষমতাসীন পিপল’স অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং।

পিএপি ১৯৫৯ সাল থেকে প্রায় ৬০ বছর ধরে দেশটির রাজনীতিতে কর্তৃত্ব বজায় রেখে আসছে লি পরিবার। লি সেইন লুং-এর বাবা লি কিউয়ান ইয়ুকে বলা হয় সিঙ্গাপুরের ‘জাতির জনক’। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন তিনি।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত ১৩তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পিএপি ৯৩টি আসন পেয়েছে। আসনের হিসেবে ৮৯ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে দলটির পপুলার ভোট কমেছে ৬১ শতাংশ।

আর দেশটির একমাত্র বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি (ডব্লিউপি) পেয়েছে ১০টি আসন। কম আসন পেলেও এটাকে ঐতিহাসিক অগ্রগতি বলছেন স্থানীয় রাজনীতিক বিশেষজ্ঞরা।

২০১৬ সালের নির্বাচনে দলটি ৬টি আসন পেয়েছিল। স্বাধীনতার পর দলটি এবারই সবচেয়ে বেশি আসনে জয় লাভ করল।

ভোটগণনা শেষে প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং বলেন, ‘আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি। জনগণের সমর্থন পেয়েছি। যদিও পপুলার ভোটের শতাংশ খুব একটা বেশি না।’

এর আগে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটির জনগণ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিয়েছেন। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে, ভোটাররা গ্লাভস ও মাস্ক পরে, নির্দিষ্ট করে দেয়া সময়ে ভোটের স্লটে ভোট দেন।

সন্ধ্যা পর্যন্তও বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের ভিড় ছিল। সে কারণে ভোট দেয়ার সময় দুই ঘণ্টা বাড়ানো হয়, যা দেশটির নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথম ঘটল। রাত ১০টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ।

এই নির্বাচনকে সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে গণভোট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে লি বলেন, আমি যেমনটি প্রত্যাশা করছিলাম তেমন শক্তিশালী ম্যান্ডেট পাইনি। তবে এটি ভালো ফল। এই ফল চলমান সংকটে সিঙ্গাপুরের মানুষের বেদনা ও অনিশ্চয়তার প্রকাশ।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুসারে, সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬১৩ জন। দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৪১ হাজার ৭৮০ জন। উৎস:  বিবিসি

ad

পাঠকের মতামত