348927

ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন কোনোক্রমে মেনে নেয়া যায় না : সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহ

সারা দেশে ভাস্কর্যের নামে যেভাবে মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে, তা কোনোক্রমে মেনে নেয়া যায় না। এক ধরনের বুদ্ধিজীবীসহ কিছু কুচক্রীমহল ভাস্কর্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। তারা দেশ, জাতি ও ইসলামের দুশমন। কেউ কেউ আলেম-ওলামাদের নামে গালি-গালাজ ও অশালীন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। যা কোনো বিচক্ষণ মানুষ মেনে নিতে পারে না

নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি। তাকে বাংলাদেশের সকল জনগণ অবশ্যয় ভালোবাসবে। তাই বলে তাকে স্মরণ করতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে তার ভাস্কর্য তৈরি করতে হবে কেন? এভাবে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে দেশে আল্লাহর গজব টেনে আনা হচ্ছে। দেশের বিবেকবান জনগণ কোনোক্রমেই এ বিজাতীয় সংস্কৃতি মেনে নিবে না। বুধবার সকালে সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

মাওলানা আবু তাহের জিহাদীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা জাফরুল্লাহ খান। ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান আল মাদানী।

বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতি ফখরুল ইসলাম। আইম্মা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী। ইসলামী জনতার পার্টির সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান আজিজ। খেলাফতে রব্বানীর আমীর মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী।

টেকেরহাটির পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী। শর্শিনার ছোট পীর মাওলানা মাওলানা শাহ আরেফ বিল্লাহ সিদ্দিকি, মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী, মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন আকন্দ ও মাওলানা ইয়ামিন হোসাইন আজমী প্রমুখ

নেতৃবৃন্দ ভাস্কর্যের নামে দেশব্যাপী মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদে আগামী ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতাকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সফল করার জন্য নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।-বিজ্ঞপ্তি

সূত্র: নয়া দিগন্ত

ad

পাঠকের মতামত