348072

কেউ ৬০-৭০ রান করলেই জিততে পারতাম : মুশফিক

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিবেচনায় লক্ষ্যটা খুব একটা বড় ছিল না। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি জিতে নিতে বেক্সিমকো ঢাকাকে করতে হতো ১৭০ রান। নাইম শেখ, মুশফিকুর রহীম, সাব্বির রহমানদের সঙ্গে তানজিদ তামিম, ইয়াসির রাব্বি, মুক্তার আলিদের নিয়ে সাজানো ব্যাটিং লাইনআপের জন্য এ রান তাড়া করা কঠিন কাজ ছিল না।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২ রানের জন্য ব্যর্থ হয়েছে ঢাকা। শেখ মেহেদি হাসানের দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে (ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৫০, ব্যাট হাতে ৪ ওভারে ২২ রানে ১ উইকেট) শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটি ২ রানে জিতে নিয়েছে রাজশাহী। মেহেদির করা শেষ ওভার থেকে ৯ রান করতে পারেনি ঢাকা, এক চারের মারে ৬ রান নিতে পেরেছেন ১৬ বলে ২৭ রান করা মুক্তার আলি।

ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন অধিনায়ক মুশফিক। এছাড়া আকবর আলি ৩৪, মুক্তার আলি ২৭, নাইম শেখ ২৬ ও তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ রান।

অর্থাৎ প্রায় সবাই ভালো শুরুর পর আউট হয়েছেন ইনিংস বড় করতে না পারার দায় মাথায় নিয়ে। অধিনায়ক মুশফিকের মতে, এ জায়গায়ই হেরে গেছেন তারা। কেউ একজন ৬০-৭০ রান করলেই ম্যাচ জেতা যেত বলে মনে করেন ঢাকা অধিনায়ক।

ম্যাচ-পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাজশাহীকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে মুশফিক বলেন, ‘প্রথমত রাজশাহী ও মেহেদিকে অভিনন্দন। তারা যেভাবে খেলেছে, সত্যিই দুর্দান্ত। আমার মনে হয় আমরা বোলিংয়ে খুব ভালো করতে পারিনি। আমরা শুরুটা ভালো করিনি আবার মাঝখানে ভালো করেছি এরপর আবার শেষদিকে সোহান ও মেহেদি ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের বোলাররা নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারেনি।’

বোলিং পরিকল্পনামাফিক না হলেও ১৭০ রান যে তাড়া করার মতো ছিল, তা মেনে নিয়েছেন মুশফিকও। তার ভাষ্য, ‘আমার মনে হয় ১৭০ তাড়া করার মতো রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের বোলাররা ঠিকভাবে শেষ করতে পারেনি। আমি, আকবর, তামিম, নাইম সবাই সেট হয়েছিল কিন্তু আপনার শুরুটাকে তো বড় করতে হবে। ৬০-৭০ রান করতে পারলে কেউ, ম্যাচ আমাদের হাতে থাকতো।’

শেষ দিকে দুই ওভারে ৩০ রান প্রয়োজন ছিল ঢাকার। সেখান থেকে ১৯তম ওভারে তিন ছক্কার মারে ২১ রান নিয়ে নেন মুক্তার। তবে তিনিই আবার শেষ ওভারে ৯ রান করতে পারেননি। মেহেদির করা শেষ ওভারে পাঁচটি ডট খেলেন মুক্তার, এক চারের মারে করেন মাত্র ৬ রান। তবে এতে মুক্তারের দোষ দিচ্ছেন না মুশফিক। বরং তিন ছক্কা হাঁকানোর কৃতিত্বটাই দিচ্ছেন অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘তারা (রাজশাহী) শেষদিকে ভালো বল করেছে। আপনি যদি দেখেন মাঝখানে আমাদের ওভারে ৯-১০ রান করে লাগত। নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য কঠিন ছিল শেষদিকে। কারণ আপনি আশা করতে পারেন না কোনো ব্যাটসম্যান এসেই তিন ছক্কা হাঁকাবে। কৃতিত্বটা মুক্তারের। সে শেষ ওভার ছাড়া খুব ভালো ব্যাট করেছে। আশা করি আমরা এই ম্যাচ থেকে শিখতে পারবো। এটাই খেলার সৌন্দর্য।’

ad

পাঠকের মতামত