347128

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ না পেয়ে ক্রিকেটারের আ’ত্মহ’ত্যা

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ক্রিকেট টিমে সুযোগ না পেয়ে সজীবুল ইসলাম সজীব (২২) নামে এক তরুণ ক্রিকেটার আ’ত্ম’হ’ত্যা করেছেন। রোববার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত সজীবুল ইসলাম সজীব ওই গ্রামের মুরসেদ আলীর ছেলে। তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ছিলেন। বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব ১৫ ও ১৭ দলেও খেলেছেন সজীব। বিদেশের মাটিতেও খেলেছেন তিনি।

সজীবের বড় ভাই তশিকুল ইসলাম জানান, ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট ছিল সজীবের ধ্যান-জ্ঞান। সেই খেলার জন্য বকাও খেতে হয়েছে পরিবারের কাছে। এক সময় সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে ভর্তি হয় রাজশাহীর কাটাখালীর বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট একাডেমিতে। এরপর থেকেই সামনের দিকে এগুতে থাকে সজীব। এক-এক করে সে জাতীয় দলের অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭ ও ১৯ দলে খেলেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়ে শ্রীলংকার মাটিতে বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করে সেই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯৫ রান সংগ্রহ করে সে। দলের মধ্যে সে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিল।

তশিকুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি সজীব বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অংশগ্রহণের জন্য সব পরীক্ষাও দিয়েছিল সজীব। গত ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে উত্তীর্ণ খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় তার নাম না থাকায় হতাশ হয়ে পড়ে সে। সবার অজান্তে শনিবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁ’চিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করে সজীব। সকালে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে দরজা ভে’ঙে ঘরে ঢুকে তার ঝু’লন্ত ম’রদে’হ নামিয়ে আনেন।

দুর্গাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী জানান, সজীব আ’ত্মহ’ত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। এছাড়াও এ নিয়ে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার ম’রদে’হ দা’ফনের অনুমিত দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অপমৃত্যু মাম’লা হয়েছে।

সূত্র: জাগো নিউজ

ad

পাঠকের মতামত