345323

হঠাৎ ফ্রান্সের অলিতে গলিতে সেনা টহল

হঠাৎ অশান্ত ফ্রান্স। রাস্তায় রাস্তায় সেনাবাহিনীর টহল। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ফ্রান্সের চার্চগুলো। শিল্প আর সাহিত্যের প্যারিস যেন ভয় আর আতঙ্কের। শুরুটা বির্তকিত রম্য ম্যাগাজিন শার্লি এবদো’র মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ থেকে। সেই আগুনে ঘি ঢেলে বিতর্ক উসকে দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপ’ত্তিকর মন্তব্যের জে’রে মুসলিম বিশ্বের ব্যাপক সমালোচনা আর পণ্য বয়কটে এমনিতেই চাপের মুখে ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এরপর ফ্রান্সের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক হামলা সেই চাপ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

দেশটির এমন পরিস্থিতির জন্য খোদ ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকেই দোষারোপ করছেন ফ্রান্সের সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির জন্য দায় এড়াতে পারেন না ম্যাক্রোঁ।

তারা বলেন, ‘ম্যাক্রোঁ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ফ্রান্সে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার অবনতি হচ্ছিল। তিনি খুবই নেতিবাচক মনোভাবের মানুষ। ম্যাক্রোঁ ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করছেন। আর এটাই ছিল সবশেষ বিভাজন।’

এদিকে, ম্যাক্রোঁর বিরূপ মন্তব্যের জে’রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফরাসি পণ্য বয়কটের পাশাপাশি বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার মস্কোয় ফরাসি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বি’ক্ষোভ করে কয়েকশ’ মানুষ।

তারা বলেন, ‘ফ্রান্স রাজনৈতিকভাবে দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করেছে। তারা মুসলমানদের হৃদয়ে আ’ঘাত করেছে। বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ মানুষকে আঘা’ত করেছে।’

তারা আরো বলেন, এটাই প্রথম না। এর আগেও মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহে ওয়াল্লাহের কার্টুন ছেড়েছে ফ্রান্স। তাদের বোঝা উচিত, বাকস্বাধীনতা মানে কারো বিশ্বাস, অনুভূতিকে আ’ঘাত করা নয়।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে ক্রেমলিন। এক বিবৃতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র বলেছেন, ধর্ম বা বিশ্বাসের অমর্যাদা কিংবা আ’ঘাত দেয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তেমনি নিরীহ মানুষের ওপর হামলা সমর্থন করে না রাশিয়া।

ad

পাঠকের মতামত