ঘরের পাশে মাটির নিচে মিলল স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের ম’রদে’হ
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর ঘরের পাশে মাটি চা’পা দেয়া অবস্থায় স্বামী, স্ত্রী ও তাদের ১২ বছর বয়সী শিশুপুত্রের মৃ’তদে’হ উ’দ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নি’হত আসাদের ভাই-দুই বোন ও ভগ্নিপতিকে আ’টক করা হয়েছে।
নি’হতরা হলেন- উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের আসাদ মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী পারভীন আক্তার (৪৫) ও তাদের সন্তান লিমন (১২)। পারিবারিক বি’রোধের জে’রে এ হ’ত্যাকা’ণ্ড হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর জামষাইট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন, আসাদ ও তার স্ত্রী পারভিন আক্তার ও ১২ বছর বয়সী শিশুপুত্র লিয়ন। এই দম্পতির বড় দুই ছেলে মোফাজ্জল ও তোফাজ্জল ঢাকা থেকে বাড়ি এসে ঘরে ঢুকে বাবা, মা ও ছোট ভাইকে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। এ সময় ঘরের ভেতর র’ক্ত দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজনকে জানান তারা।
দুই ভাই জানান, আমার মা-বাবা ও ছোট ভাইকে মে’রে ফেলেছে। কে মে’রেছে- এমন প্রশ্নে তারা বলেন, চাচা, ফুফু ও দাদী। এর সাথে দুই ফুফুর ছেলে-মেয়েও জ’ড়িত আছে।
পরে স্থানীয়রা কটিয়াদী থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে র’ক্ত অনুসরণ করে বসতঘরের পাশে একটি গর্তে মাটিচাপা অবস্থায় তিন জনের মৃ’তদে’হ পায়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে লাশগুলো মাটির নিচ থেকে তোলা হয়। পারিবারিক বি’রোধের জে’র ধরে এ চাঞ্চল্যকর ট্রিপল ‘মার্ডার হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, তিন জনকে হ’ত্যা করা হয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে নিয়ে এসেছি। বিয়ষটি নিয়ে তদন্ত করা হবে; আশা করি দোষীরা ধরা পড়বে।
এ ঘটনায় স’ন্দেহভা’জন হিসেবে আসাদের ভাই দীন ইসলাম, দুই বোন নাজমা ও তাসলিমা এবং তাসলিমার স্বামী ফজলু মিয়াকে আটক করে কটিয়াদী থানায় নেয়া হয়েছে।