344452

অস্টিওপোরোসিস থেকে বাঁচবেন যেভাবে

ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ অস্টিওপোরোসিস। অস্থির বৃদ্ধির জন্য চাই ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার। বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের সাধারণত এ রোগটা হয়ে থাকে। যেসব বয়স্ক পুরুষ দীর্ঘদিন ধরি স্টেরয়েড ওষুধ সেবন করেন তাদের এবং মহিলাদের মেনোপজ হওয়ার পর এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বুঝবেন যেভাবে-

যদি সামান্য উচ্চতা থেকে পড়ে বা অল্প আঘাতে কারও হাড়, বিশেষ করে মেরুদণ্ড, কবজি, কুঁচকি, রান ও পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়, তবে তার অস্টিওপোরোসিস আছে বলে ধরে নিতে হবে।

তা ছাড়া ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের হাড়ের ঘনত্ব পরিমাপ করেও অস্টিওপোরোসিস নির্ণয় করা যায়। এফআরএএক্স নামের অনলাইনভিত্তিক অ্যাপের সাহায্যে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি নিরূপণ সম্ভব। এই অ্যাপের বাংলা ভার্সনও রয়েছে।

রোগপ্রতিরোধ ও চিকিৎসা

অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে ঝুঁকি শনাক্ত করা ও তা রোধ করা প্রথম পদক্ষেপ। জীবনধারায় পরিবর্তন, কায়িক শ্রম, নিয়মিত ব্যায়াম, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়া জরুরি।

ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের প্রয়োজনে ঝুঁকি চিহ্নিত করে চিকিৎসা নেয়া উচিত। কারণ, একবার হাড় ভেঙে গেলে যেসব জটিলতার সৃষ্টি হয়, তার ব্যাপকতা অনেক। বয়স্ক ব্যক্তিদের অচল, শয্যাশায়ী বা কর্মক্ষমতাহীন হয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হাড় ভেঙে যাওয়া।

এতে প্রবীণদের মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ে। কাজেই অস্টিওপোরোসিস সন্দেহ হলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক রোগীর প্রকৃতি ও রোগের মাত্রা বুঝে প্রয়োজনীয় ওষুধ বা চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেবেন।

অস্টিওপোরোসিস হলে সবচেয়ে সমস্যা হয় হাঁটুতে। সে ক্ষেত্রে হাঁটুর ব্যথায় ভালো থাকার কিছু টোটকা জেনে নিন।

১) তিন থেকে চার টুকরা বরফ তোয়ালেতে জড়িয়ে হাঁটুর ঠিক যে জায়গায় ব্যথা হচ্ছে, সেখানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চেপে ধরে রাখুন। এতে অনেক সময়ে ব্যথা কমে যায়।

২) ৩ থেকে ৪ চামচ অলিভ অয়েল গরম করে ব্যথার জায়গায় আলতো হাতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মালিশ করুন। দিনে ২-৩ বার এটা করলে ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।

৩) গরম জলের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটু ডুবিয়ে রাখুন। হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। ব্যথা নিরাময়ে দিনে ২-৩বার এটা করতে হবে।

৪) ২ কাপ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ বাদাম, আখরোটগুঁড়ো ও সামান্য হলুদগুঁড়ো ভালোভাবে ফোটাতে হবে, যতক্ষণ না মিশ্রণের পরিমাণ অর্ধেক হচ্ছে। টানা ২ মাস দিনে একবার এই দুধ খেয়ে যেতে হবে। ব্যথায় আরাম পাবেন।

৫) আদা খেলে হাঁটুর ব্যথা অনেকটা কমে। এ ক্ষেত্রে সকাল-সকাল আদা চা খেতে পারেন।

৬) যাদের হাঁটু ব্যথা আছে, তারা খুব কঠিন ব্যায়াম করবেন না। বরং হালকা ব্যায়াম করুন, নিয়মিত করুন, ভালো ফল পাবেন।

ad

পাঠকের মতামত