344025

তাইওয়ানে হা’মলার প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন

চীনের দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে গত কয়েক দিনে বিপুলসংখ্যক সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ অঞ্চলটিতে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি অত্যাধুনিক ডিএফ-১৭ হাইপারসনিক মিসাইলও আনা হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন এবং অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে যথাসম্ভব তাইওয়ানে হা’মলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ এ সামরিক বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলে পুরোনো ডিএফ-১১এস এবং ডিএফ-১৫এস মিসাইলের বদলে অত্যাধুনিক ডিএফ- ১৭ হাইপারসনিক মিসাইল পাঠিয়েছে চীন। এ মিসাইল নিখুঁতভাবে অনেক দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হা’মলা চালাতে সক্ষম।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং গত সপ্তাহে দেশটির সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন, ‘যু’দ্ধের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে। ‘এরপরই দেশটির সেনাবাহিনীর এই গতিবিধি ‘তাইওয়ানে হা’মলার সম্ভাবনা’কেই জোরালো করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। তাইওয়ান দখলে সেনা অভিযান চালানো হবে একথা আগেও জানিয়েছে দেশটির সরকার। গত কয়েক বছর ধরে তাই তাইওয়ানের আশপাশে চীন তার সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।

কানাডাভিত্তিক ‘কানওয়া ডিফেন্স রিভিউ’ অনুযায়ী, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে চিনের ফুজিয়ান এবং গুয়ানডংয়ে মেরিন কর্পস এবং রকেট ফোর্সের পরিকাঠামোও বর্তমানে অনেকটা শক্তিশালী করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৮ এবং ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ড এবং তাইওয়ানের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে প্রায় ৪০টি চীনা যুদ্ধবিমান উড়ে গেছে। এ ঘটনাকে দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে বিপদ সংকেত বলেও উল্লেখ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন।

তাইওয়ানের বিষয়ে চীনের সঙ্গে আমেরিকার মতবিরোধ রয়েছে। করোনাকালে এ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনের তাইওয়ান আ’ক্রমণের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রতিপক্ষ দেশগুলো কী ভূমিকা পালন করবে সেদিকে নজর বিশেষজ্ঞদের।

ad

পাঠকের মতামত