341110

অসুস্থ স্বামীর জন্য র’ক্ত আনতে গিয়ে ধ’র্ষণের শি’কার নার্স

গু’রুতর অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান এক নার্স। সেখানে মেডিসিন বিভাগে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, জরুরি ভিত্তিতে তাকে র’ক্ত দেওয়া প্রয়োজন। হাসপাতালের দোতলায় ব্লা’ড ব্যাংকের সামনে কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখে তাদের কাছেই সাহায্য চান ওই নারী। তখন মনোয়ার হোসেন সজীব নামে এক ব্যক্তি তাকে ‘ও-পজেটিভ’ গ্রুপের র’ক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এর পরদিন কৌশলে মিরপুরের মধ্য মণিপুর এলাকার এক বাসায় নিয়ে তাকে ধ’র্ষণ করে সজীব। গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ ঘ’টনার পর বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে হু’মকিও দেওয়া হয়। ভয়ে-লজ্জায় তা গোপন রেখেছিলেন তিনি। তবে গত বৃহস্পতিবার আবারও ধর্ষ’ণের শিকার হওয়ার আ’শঙ্কা দেখা দিলে তিনি স্বামীকে বিষয়টি জানান। একপর্যায়ে এই দম্পতি র‌্যাবের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।

র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধ’র্ষণে অ’ভিযুক্ত মনোয়ার হোসেন সজীব ও তাকে সহায়তাকারী মাশনু আরা বেগম শিল্পীকে শুক্রবার রাতে মিরপুরের মধ্য মণিপুরের শিফা ভিলা থেকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। ৪৩ বছর বয়সী সজীব দুশ্চরিত্র স্বভাবের লোক। ঢাকায় তার নিজের বাড়ি আছে। সে প্রাইভেট টিউটর হিসেবে কাজ করে। শেয়ারবাজারেও তার বিনিয়োগ আছে। আর শিল্পী পেশাদার যৌ’নক’র্মী। সজীবের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন ধ’র্ষণে সহায়তার বিনিময়ে সে ৫০০ টাকা পেয়েছে।

র‌্যাব-২ সূত্র জানায়, সাতক্ষীরার একটি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কাজ করেন ধ’র্ষণের শি’কার নারী। তার স্বামী বেশ কিছুদিন ধরে পাইলস ও অন্যান্য অসুখে ভুগছেন। তাকে নিয়মিত র’ক্ত দিতে হয়। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে নিয়ে ঢাকায় আসেন ওই নারী। এখানে তার পরিচিত বিশেষ কেউ নেই। তাই র’ক্ত সংগ্রহের জন্য তিনি উপস্থিত অন্যদের কাছে সহায়তা চান। একই হাসপাতালে সজীবের মায়েরও চিকিৎসা চলছে। সে ওই নারীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিতে তাকে র’ক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার কথা বলে। এরপর শিল্পীকে ফোন করে এই অ’পকর্ম সংঘ’টনের পরিকল্পনা করে। পরদিন র’ক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার নাম করে শিল্পীর বাসায় নিয়ে নার্সকে ধ’র্ষণ করে সজীব।

ভু’ক্তভো’গী চিৎ’কার করলে গ’লা চে’পে ধ’রে মে’রে ফে’লার ভ’য় দেখায়। পরে সে এক ব্যাগ র’ক্ত সংগ্রহও করে দেয়। এরপর বৃহস্পতিবার সজীব ওই নারীর স্বামীকে ফোন করে জানায়, আরও এক ব্যাগ র’ক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। তার স্ত্রী যেন গিয়ে তা নিয়ে আসেন। তবে ভু’ক্তভোগী এবার যেতে আ’পত্তি করেন। এক পর্যায়ে তিনি স্বামীকে সেদিনের ঘটনা খুলে বলেন এবং র’ক্ত আনতে গেলে আবারও ধ’র্ষণের শি’কার হতে হবে বলে আ’শঙ্কা প্রকাশ করেন। তখন তারা পরামর্শ করে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক বরাবর অ’ভিযোগ জানান। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘ’টনার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর আ’সামিদের গ্রে’প্তার অ’ভিযানে নামে র‌্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে সজীব ধ’র্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মিরপুর থানায় মা’মলা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত