340823

ট্রেনের ৪ বগি লাইনচ্যুত, নারায়ণগঞ্জে অল্পে রক্ষা পেল শত শত মানুষ

নারায়ণগঞ্জে যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছ। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁ’চে গেছেন কয়েকশ যাত্রী ও আশপাশের লোকজন। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি দুপুর দেড়টায় নারায়ণগঞ্জের ২নং রেলক্রসিং অতিক্রম করার পর এই দু’র্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে ট্রেনটি লাইন থেকে বিচ্যুত হয়েও বগিগুলো উল্টে না যাওয়ায় কোনো হ’তাহ’তের ঘ’টনা ঘটেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনটি ১নং গেট সংলগ্ন বোস কেবিনের সামনে লাইনচ্যুত হয়। মসজিদে বি’স্ফোর’ণের ঘটনায় এমনিতেই বহু লোক প্রাণ হারিয়েছেন। এর পর ৪টি বগি উল্টে গেলে হ’তাহ’তের ঘটনায় আরেকটি ম’র্মান্তিক ঘটনার জন্ম দিত নারায়ণগঞ্জে। রেল লাইনের ২ পাশেই এসময় অ’বৈধ দোকানপাটে কমপক্ষে কয়েকশ লোকজন ছিল।

এ ঘটনার পর থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ট্রেনলাইন সচল করতে ঢাকা থেকে রেলওয়ের একটি উ’দ্ধারকারী দল নারায়ণগঞ্জে কাজ করছে।

ট্রেনের বগিতে থাকা কয়েকজন যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে আসা ট্রেনটি চাষাঢ়া রেলস্টেশনে যাত্রী নামিয়ে কালিরবাজার এলাকায় নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। দুপুর দেড়টার দিকে ট্রেনটি দুই নম্বর রেলগেট অতিক্রম করে এক নম্বর রেল গেটের মাঝামাঝি অবস্থানে গিয়ে পেছনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে কিছুটা হেলে পড়ে এবং থেমে যায়। এ সময় ভয় ও আ’তংকে ট্রেনের সবগুলো বগির যাত্রীরা হু’ড়োহু’ড়ি করে নেমে পড়েন। তবে বগি চারটি লাইনচ্যুত হলেও উল্টে না যাওয়ায় কেউ হ’তাহত হননি।

সরজমিনে দেখা গেছে, ২নং রেল গেট থেকে ১নং রেল গেট পর্যন্ত ট্রেন লাইনের উভয় পাশে কমপক্ষে দেড় শতাধিক অস্থায়ী দোকান-পাট গড়ে উঠেছে। এখানে ফলের দোকান থেকে শুরু করে শুটকির দোকান, কাচা-বাজার, তৈজস জিনিসপত্র, ‘দা’-ছু’ড়ি, কাচের থালা-বাসন এমনকি মসলার দোকানও রয়েছে। প্রতি বছর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ লোক দেখানো উচ্ছেদ করলেও উচ্ছেদের ৪-৫ দিন পরেই ফেল বসে দোকানপাট।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার গোলাম মোস্তফা জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে সরকারের নির্দেশে দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় রেললাইন ও ট্রেনের বগিগুলোতে ত্রুটি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

দু’র্ঘটনায় কেউ হ’তা’হত হননি জানিয়ে স্টেশন মাস্টার বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে রেলের ২ পাশের অ’বৈধ দোকানপাট নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ad

পাঠকের মতামত