334500

নববধূ লাবনীর ‘প’রকী’য়া’র বলি মাইক্রোচালক বেলাল

নিউজ ডেস্ক।। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় মাইক্রোচালক বেলাল হোসেন হ’ত্যা মা’মলা’র রহস্য উদঘাটনসহ ঘা’ত’ক আলমগীর হোসেনকে (৩০) গ্রে’প্তা’র করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা।

গ্রে’প্তা’র আলমগীর হোসেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোস্তফী এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি হ’ত্যা’র শি’কার বেলাল হোসেনের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী লাবনী বেগমের দুলাভাই। নি’হ’ত মাইক্রোবাস চালক বেলাল হোসেন (২৯) লালমনিরহাট সদর উপজেলার হাড়িভা’ঙ্গা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

গ্রে’প্তা’র আলমগীরকে জি’জ্ঞাসা’বাদের বরাত দিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা জানান, শ্যালিকা লাবনী বেগমের সঙ্গে অ’নৈতি’ক সম্পর্ক ছিল আলমগীর হোসেনের। গত ২৪ জুন হঠাৎ করে পারিবারিকভাবে লাবনী বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় মাইক্রোচালক বেলালের। এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি লাবনীর প্রেমিক আলমগীর। এতে ক্ষি’প্ত হয়ে বেলাল হোসনকে হ’ত্যা’র পরিকল্পনা করেন তিনি।

এসপি আবিদা বলেন, গত ২৫ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেলালকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ান আলমগীর। এরপর তাকে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের যুগিটারী গ্রামে নিয়ে গ’লাকে’টে হ’ত্যা করেন। পরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের পাশে পাটক্ষেতে লা’শ ফেলে পালিয়ে যায় আলমগীর ও তার সহযোগীরা। এর দুদিন পরে ২৭ জুলাই স্থানীয়দের দেওয়া খবরে বেলালের অর্ধগলিত ম’রদেহ উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন নি’হত বেলালের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আ’সামি’দের বি’রুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি হ’ত্যা মা’মলা দায়ের করেন।

লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার বলেন, ‘ক্লু-লেস এ হ’ত্যা মা’মলা’টি আদিতমারী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনিচুর রহমান আনিচ ত’দ’ন্ত করে সন্দেহজনকভাবে বেলালের নববধূ লাবনী বেগমকে আ’ট’ক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গতকাল সোমবার সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকা থেকে আলমগীরকে গ্রে’প্তা’র করা হয়। গ্রে’প্তা’র আলমগীরের দেওয়া তথ্যমতে হ’ত্যা’র অ’স্ত্র ও ছু’রি উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি হ’ত্যার দায় স্বীকার করেছেন।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ও মা’মলা’র ত’দন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) আনিচুর রহমান আনিচ উপস্থিত ছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত