334333

পাপুলের অবৈধ সম্পদের পাহাড় বেরিয়ে আসছে ত’দন্তে

নিউজ ডেস্ক।। আদমব্যাপারী পাপুলের অবৈধ সম্পদের উৎস খুঁজতে গিয়ে বের হয়ে আসছে একের পর এক খাজানা। রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়ায় তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের নামে কেনা বাড়িটিতে থাকে দুই গৃহকর্মী।

ঢাকায় আরও ফ্ল্যাট আর বাড়ির খোঁজ মিলেছে। বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ ও মা’নবপাচারের অ’ভিযোগ ত’দন্তে মাঠে দুদক ও সিআইডি।

রাজধানীর কুটনৈতিক পাড়ায় বিলাসবহুল বাড়িটিতে থাকেন দুজন কাজের মেয়ে। কেনা স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের নামে। একইভাবে গুলশান-১ এর এই বাড়িটিতেও রয়েছে স্ত্রী ও মেয়ের নামে ৩ হাজার স্কয়ার ফিটের দুটি ফ্ল্যাট। রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ তলা বাড়ি।

৫০ কোটি টাকার শেয়ার কিনে পাপুল হয়েছেন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক। এই ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে ব্যবসার আড়ালে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ২৮০ কোটি টাকা হুন্ডি ও বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পাচার করেছেন বলে অ’ভিযো’গ তদ’ন্ত করছে দুদক। পরিচালক হয়েও বে’আইনী’ভাবে ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে ১ হাজার ২শ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারেন্টি ইস্যু করে সুবিধাভোগ করেন তিনি। এমন সব অঢেল সম্পদের তথ্য এখন দুদকে। তার অবর্তমানেই চলবে পুরো ত’দন্ত প্রক্রিয়া।

দুদক আইনজীবী অ্যাড. খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘পাপুলের ব্যাপারে কোনো অ’ভিযো’গের তদ’ন্ত করতে কোনো বাধা থাকবে না।’

১৭ জুন মানব পাচারের অ’ভিযো’গে কুয়েত পুলিশের হাতে গ্রে’ফ’তার এই সংসদ সদস্যের কুয়েতের ৫০ লাখ কুয়েতি দিনারের হিসাবগুলো জব্দ করেছে কুয়েত। বাংলাদেশি অর্থমূল্য ১৩৮ কোটি টাকা। কুয়েতের মতো দেশেও মানবপাচারের অ’ভিযো’গ ত’দন্ত করে এবার পাপুলের সিন্ডিকেটের লাগাম টানতে চায় সিআইডি।

সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মানবপাচার নিয়ে তো মা’মলা হয়েছে, এখন অ’র্থপা’চার নিয়েও ত’দন্ত শুরু হয়েছে। উৎস পেলেই সিআইডি মা’মলা করবে।’

এছাড়াও পাপুলের নিজ সংসদীয় এলাকা ও রায়পুরে রয়েছে অঢেল সম্পদ। উৎস: সময়নিউজ।

ad

পাঠকের মতামত