334095

৪৮ ঘণ্টা পর করোনা রিপোর্ট মানে ‘সম্পূর্ণ অপচয়’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। করোনাভাইরাসের পরীক্ষার রিপোর্ট ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় পর দেয়াকে ‘সম্পূর্ণ অপচয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিএনবিসি’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস একথা বলেছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।

বিল গেটস বলেন, বর্তমানে বেশিরভাগ করোনা পরীক্ষাই ‘সম্পূর্ণ অপচয়’। কারণ এসব পরীক্ষায় রিপোর্ট আসতে অনেক বেশি সময় লাগে।

আর এ পরীক্ষার জন্য কাউকে অর্থ দেয়া হলো ‘কান্ডজ্ঞানহীনতা’। যদি কারো রিপোর্ট পেতে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে, তাহলে ওই পরীক্ষার জন্য তার অর্থ পরিশোধ করা উচিত হবে না। কারণ পরীক্ষাটি সম্পূর্ণ অপচয়। বর্তমানে যত পরীক্ষা হচ্ছে তার অধিকাংশই অপচয় বলে মনে করেন তিনি।

করোনার সং’ক্রমণ ঠেকাতে হলে মানুষের কাছে দ্রুত পরীক্ষার রিপোর্ট পৌঁছানো দরকার জানিয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই ধনকুবের বলেন, তখন তারা যেন সে অনুযায়ী নিজেদের জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে পারে। এতে করে আ’ক্রান্ত ব্যক্তিরা অন্যদের সং’ক্রমিত না করে তাদের সঙ্গনিরোধ করতে পারবে।

বিল গেটসের এমন মন্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে মার্কিন হেলথ ও হিউম্যান সার্ভিস বিভাগের কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল ব্রেট গ্যরোয়্যার বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেয়া উচিত। নয়তো আমরা কখনোই টেস্টিং নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারবো না। এক্ষেত্রে যদি অধিকাংশ স্থানে ‘পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং’ সেবা চালু করা যায় তাহলে এই পদ্ধতির উন্নতি হতে পারে। আর সেটি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মোট করোনা পরীক্ষার অর্ধেকই বড় বাণিজ্যিক ল্যাবগুলোতে হয়ে থাকে। যারা রিপোর্ট দিতে গড়ে ৪ দশমিক ২৭ দিন সময় নিয়ে থাকেন বলে তিনি জানান।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই নমুনা পরীক্ষার গতি ধীর ছিল। সে জন্য কোভিড-১৯ এর বিস্তার দ্রুত হয়েছে। কারণ বিস্তারের গতির সঙ্গে পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে কত সময় লাগছে সেটিও সম্পর্কযুক্ত। করোনার রিপোর্ট পেতে দেরি হলে ভাইরাসটির সং’ক্রমণ ঠেকানোর কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।

ad

পাঠকের মতামত