323975

এমন অসহায় অবস্থা দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারলেন না অভিনেত্রী শুভশ্রী

বিনোদন ডেস্ক: করোনাভাইরাস, আম্ফান-একের পর এক দুর্যো’গে বিপর্য’স্ত মানব জীবন। লকডউনে ঘরব’ন্দি মানুষ। আর এলাকার পর এলাকা ধ্বং’স আম্ফানে, বিচ্ছি’ন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

এমন অসহায় অবস্থা দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারলেন না ভারতের অভিনেত্রী শুভশ্রী। গর্ভ’স্থ সন্তানের জন্য ধ’রলেন কলম। জানালেন ছোট্ট প্রাণের সমস্ত না পাওয়া এবং এক মায়ের অসহা’য়তা। নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করলেন- তোর জন্য নামের এক চিঠি।

তিনি লিখলেন, মনটা বড্ড খারাপ। সারাক্ষণ চেষ্টা করছি মনটাকে ঠিক রাখার, কিছুতেই পারছি না। সবাই বলে প্রে’গনে’ন্ট হলে হাসিখুশি থাকতে হয়, কী করে থাকব বল তো! তোর কথা ভেবেই সব ভুলার চেষ্টা করছি। কিন্তু এত ধ্বং’সস্তূ’প আগে কখনও দেখিনি যে… কান্না চে’পে রাখতে পারছি না। নিজের মনটাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি, যে না না এখন মন খারা’প করলে চলে না! ভাবছি তুই কী ভাববি… কিন্তু নিজেকে আ’টকে রাখতে পারছি না।

শুভশ্রী লেখেন, জানিস কত হাজার হাজার গাছ মাটিতে লু’টিয়ে পড়েছে। কত আদ্যিকালের বটগাছ, আরো কত কী! সেগুলোকে আর ফেরানো যাবে না। আমি যে গাছকে এত ভালবাসতাম আগে কখনও অনুভব করিনি।

গাছেদের জন্য এত মন খারা’প…ভাবিনি। তোকে গল্ফগ্রীন, সাউদার্ন এভিনিউ, ময়দানের সবুজ দৃশ্যগুলো আর দেখানো হলো না। সেই বড় বড় গাছগুলো…সেগুলো তো শুধু গাছ ছিল না। ছিল হাজার হাজার পাখির বাসা। তুই দেখতে পেলি না। ৮২ হাজার ঘর ভে’ঙে গেল এই ঝড়ে। কী করছে এখন সেই গৃহহা’রা মানুষগুলো? তারওপরে করোনার প্রভাব তো বাড়ছেই। এমনিই কম অভাব ছিল না ওদের…এখন মুখে তো’লার অন্নটুকুও নেই। আশ্রয় বলতে মাথার ছাদটুকুই ছিল সেটাও উ’ড়ে গেল।

তিনি লিখেন, ভাবছি সবকিছুর বদলা নিতেই কী এসেছে এই বছরটা? তাহলে কি সত্যিই সব শেষ হয়ে যাবে? আমি বিশ্বাস করতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি শুধু ধ্বং’স না সৃষ্টিও করবে এই পৃথিবী। তোকে সৃষ্টি করার যে আনন্দ প্রত্যেকদিন আমি উপভোগ করি, পৃথিবীর সবাই সেই আনন্দ উপভোগ করবে খুব তাড়াতাড়ি। শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাতের পর দিনের অপেক্ষা।

সবকিছু সামলে বিশ্ব একদিন ঘুরে দাঁড়াবেই। আসতে আসতে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে তিলোত্তমা। তবে সন্তানকে লেখা শুভশ্রীর এই মন খারাপের চিঠি শুনতে গলার কাছে কান্না দলা পাকিয়ে আসছে। ক্ষ’ত সে’রে ওঠার আশায় তো সকলেরই।সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ad

পাঠকের মতামত