323748

৯৯ আরোহী নিয়ে বিমান বি’ধ্বস্ত, দুইজন ছাড়া সবাই নি’হত

ডেস্ক রিপোর্ট।। পাকিস্তানে শুক্রবার করাচি শহরের এক আবাসিক এলাকার ঘরবাড়ির ওপর যে যাত্রীবাহী বিমানটি ভে’ঙে পড়েছিল তার ৯৭ জনই নি’হত হয়েছে। বেঁ’চে আছে মাত্র দুইজন যাত্রী এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থাও গু’রুতর।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ডন জানাচ্ছে, শুক্রবার দুপুরে করাচির জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে শহরের মডেল কলোনিতে বি’ধ্বস্ত হওয়া এ-৩২০ এয়ারবাসটিতে মোট ৯৯ জন আরোহী ছিল। এদের মধ্যে ৯১ যাত্রী ও ৮ জন ক্রু। এই দুর্ঘ’টনায় বিমানের ৯৭ জন আরোহীই প্রা’ণ হারিয়েছে। মাত্র দুইজন যাত্রী বেঁ’চে আছেন।

এদের একজন হলেন জাফর মাসুদ নামে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ও অন্যজন মেহাম্মদ জুবায়ের। বিমানের ধ্বং’সাবশেষ থেকে জীবিত উ’দ্ধার করার পর ওই দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বেঁ’চে যাওয়া দুই যাত্রীর অবস্থা গু’রুতর বলে জানানো হয়েছে। সিন্দু প্রদেশের তথ্য মন্ত্রী নাসির হুসায়েন শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এছাড়া বিমানের ধ্বং’সাবশেষ থেকে আরও ৩৫ জনের ম’রদেহ উ’দ্ধার করা হয়েছে। তাদের করাচির বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকার ২০-২৫ জন আহত ব্যক্তিকে উ’দ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে দু’র্ঘটনার পরপরই সিন্ধু স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা কল্যাণমন্ত্রী করাচির সব বড় হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।

শাকিল আহমেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিমানবন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বিমানটি বি’ধ্বস্ত হওয়ার আগে মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে সং’ঘর্ষ হয়। এতে চারটি বাড়িতে আ’গুন ধরে যায় এবং এইসব বাড়ির বেশ কিছু মানুষও হ’তাহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

করাচির ঠিক ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশেই এই মডেল কলোনি, তাই উ’দ্ধারকাজের জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছুটে আসেন।

এদিকে এই দু’র্ঘটনার স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছে পাকিস্তান এয়ারলাইন্স পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন (পালপা)। তারা আরও দাবি করেছেন, এই বিমানের পাইলটরা অতি দক্ষ ছিলেন। তাই তাদের গাফিলতিতে যে এই দু’র্ঘটনা হয়নি, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত। আর তদন্তের সময় বিমানের যান্ত্রিক ক্রুটি খুঁজে দেখার পাশপাশি গ্রাউন্ড স্টাফ ও ফ্লাইট ক্রুদের ওয়ার্কিং কন্ডিশনের ওপরও তদন্তের দাবি জানিয়েছে পালপা। সূত্র: ডন

ad

পাঠকের মতামত