323277

বলে লালা ব্যবহার নি’ষিদ্ধে আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সম্মতি

স্পোর্টস ডেস্ক।। বলে লালা ব্যবহার নি’ষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সম্মতি দিল অনিল কুম্বলে নেতৃত্বাধীন আইসিসি ক্রিকেট কমিটি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মানুষের থুতু এবং লালা থেকেই অপর কোনো ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করতে পারে করোনাভাইরাস। তাই ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলে লালা বা থুতু লাগানো নি’ষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।

ওই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুজন করে স্থানীয় আম্পায়ার রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু বল পালিশের ক্ষেত্রে ঘামের ব্যবহারে এখনো কোনো নি’ষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।

অনিল কুম্বলে নেতৃত্বাধীন এই ক্রিকেট কমিটি প্রতি ইনিংসে দুটির পরিবর্তে তিনটি করে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেওয়ার নিয়ম চালু করার পরামর্শও দিয়েছে। আগামী মাসে আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায় পাস হতে পারে প্রস্তাবগুলো। আইসিসির মেডিকেল অ্যাডভাইজরি কমিটির প্রধান ডাক্তার পিটার হাইকোর্টের পরামর্শ মেনেই বলে থুতু মাখানো নি’ষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে ক্রিকেট কমিটি।

ক্রিকেট কমিটি সর্বসম্মতভাবেই থুতু বা লালা মাখানো নি’ষিদ্ধ করার প্রস্তাব করে। অন্যদিকে ঘামের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় ঘাম মাখাতে আ’পত্তি করেনি কমিটি। তবে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট মাঠগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি আরও কঠোরভাবে মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে কমিটি।

করোনাভাইরাস এসে বন্ধ করে দিয়েছে সব ধরনের খেলাধুলা। তবে এরইমধ্যে ফিরতে শুরু করেছে অনেক খেলা। ক্রিকেটও যে ফিরে আসবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই আইসিসির। তবে বিভিন্ন দেশের কোয়ারেন্টিন আইন ও ভ্রমণ নি’ষেধাজ্ঞা ভাবাচ্ছে আইসিসিকে। সামনে হয়তো চাইলেই হুট করে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়া যাবে না।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে নিরপেক্ষ আম্পায়ার দেওয়াটাই কষ্টকর হয়ে যাবে। বর্তমান নিয়মে টেস্টে দুই প্রান্তেই এবং ওয়ানডেতে এক প্রান্তে আইসিসি নিয়োগকৃত নিরপেক্ষ আম্পায়ার থাকেন। কুম্বলের কমিটি সুপারিশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য হলেও এই নিয়ম শিথিল করার, ‘বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ, আছে ফ্লাইট স্বল্পতা, তারওপর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন। এ সব বিবেচনায় নিয়ে কমিটি স্বল্প সময়ের জন্য স্থানীয় অফিশিয়াল নিয়োগের প্রস্তাব করেছে।’

অবশ্য আইসিসিই ঠিক করে দেবে কারা আম্পায়ারিং করবেন। আইসিসির এলিট ও ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলে থাকা স্থানীয় আম্পায়াররা ও ম্যাচ রেফারিরাই প্রাধান্য পাবেন। এলিট প্যানেলের আম্পায়ার না পাওয়া গেলে তবেই নিয়োগ দেওয়া হবে স্থানীয় আন্তর্জাতিক প্যানেলের আম্পায়ারদের।

ক্রিকেট কমিটি করোনার এই সময়ে ম্যাচে আরও বেশি প্রযুক্তি ব্যবহারেরও সুপারিশ করেছে। প্রতি ইনিংসেই দলগুলো একটি করে বাড়তি ডিআরএস রিভিউ নিতে পারে। কেন এসব পরিবর্তন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইসিসি ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলে, ‘আমরা এখন ব্যতিক্রমী এক সময়ে বাস করছি। ক্রিকেটকে নিরাপদে মাঠে ফিরিয়ে আনতে, খেলাটির মৌলিকত্ব ধরে রাখতে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিরাপদে রাখতেই কমিটি অন্তবর্তীকালীন এসব সুপারিশ করেছে।’

ক্রিকেট কমিটির বৈঠকে আইসিসির মেডিকেল আ্যডভাইসরি কমিটির প্রধান ডা. পিটার হারকোর্টের পরামর্শ নেওয়া হয় ভিডিও কনফারেন্সে। সেখানেই করোনা পরবর্তী যুগে থুতু দিয়ে বল পালিশ করার বি’পদ নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কোকাবুরা সংস্থার তৈরি করা মোমের মলম নিয়ে।

ad

পাঠকের মতামত