323066

মা’দকের টাকা না পেয়ে মাকে মা’রতে অ’স্ত্র কেনেন ছেলে

নিউজ ডেস্ক।। চাহিদা মতো মা’দকে’র টাকা না পেয়ে মাকে প্রায়ই মা’রধ’র করতো ছেলে। ওই ঘটনায় থানায় ছেলের বি’রুদ্ধে মা’মলা করেন মা। বিষয়টি জানতে পেরে মাকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে ছেলে।

সে মোতাবেক বন্ধুদের মাধ্যমে একটি অ’স্ত্র ও তিন রা’উন্ড গু’লি কিনেন। তার বি’রু’দ্ধে করা মা’ম’লা তুলে নেয়া না হলে মাকে হ’ত্যা’র হু’মকি দিতে থাকে মা’দকাস’ক্ত ছেলে। সোমবার (১৮ মে) ভোররাতে অ’ভিযুক্তকে অ’স্ত্র’সহ গ্রে’ফতা’রের পর এসব তথ্য জানতে পেরেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)।

এর আগে ৮ মে রাজধানীর কলাবাগান থানায় মা’ম’লা করেন ছেলের নি’র্যাত’নের শি’কার এক মা। তিনি ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে থাকেন রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকায়। স্বামী দুই বছর আগে মা’রা গেছেন। এক মেয়ে সরকারি চাকরিজীবী। ছেলে মিল্লাত হোসেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। স্কুলে পড়ার সময় অ’সৎ সঙ্গে মে’লামে’শার কারণে মা’দকাস’ক্ত হয়ে পড়েন। মা’দকে’র টাকার জন্য মাকে মা’রধ’র ও ঘরে ভা’ঙচুর করতেন। একাধিকবার তাকে মাদ’ক নি’রাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও সং’শোধন হয়নি। বরং দিনকে দিন তার অ’ত্যাচা’রের মাত্রা বে’ড়েছে।

মা’মলা’র এ’জাহারে বর্ণনা অনুযায়ী, মা’মলা’র আগের দিন রাতে মাকে মা’র’ধর করেন মিল্লাত। মধ্যরাতে মা’দ’ক কেনার টাকার জন্য তিনি প্রথমে মাকে অকথ্য ভাষায় গা’লিগালা’জ করেন। পরে কাঠের একটি লা’ঠি দিয়ে মা’রধ’র করলে তিনি মাথা ও কানে আ’ঘা’ত পান। এর আগেও ছেলে তাকে মা’দ’কের টাকা না পেয়ে ‘প্রাণে মে’রে ফেলার হু’ম’কি দেয়। নিরুপায় হয়ে ওই মা ছেলের বি’রু’দ্ধে মা’ম’লা করেন। অ’ভিযু’ক্ত ছেলেকে গ্রে’ফতা’রে অ’ভিযা’ন চালায় র‍্যাব-১। ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এইচ এম আরেফিন অ’ভিযা’নে নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, পান্থপথে নিরাপত্তা চৌকি থেকে গ্রে’ফতা’রের পর তার বাইকের মিটার বক্সের সামনে থাকা প্যাকেট থেকে একটি অ’স্ত্র ও তিন রা’উন্ড গু’লি উ’দ্ধার করা হয়।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিল্লাত জানিয়েছেন- মায়ের মা’মলা’র কারণে সে বাসায় আসতে পারছিল না। আ’ইনশৃঙ্খ’লাবাহিনীর সদস্যরা তাকে খুঁজছিল। এজন্য তাকে পালিয়ে থাকতে হচ্ছিল। মা’ম’লা তুলে নিতে মাকে দুইদিন আগেও মিল্লাত হু’ম’কি দিয়েছিল। পরে বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি অ’স্ত্র কেনে। গ্রে’ফতা’রের সময় সে বাসায় যাচ্ছিল। মা যদি ‘মা’ম’লা তুলে না নেয় তাহলে গু’লি করে হ’ত্যা’র পরিকল্পনা ছিল তার।

এর আগে মিল্লাতকে পান্থপথের একটি চেকপোস্ট থেকে অ’স্ত্রস’হ গ্রে’ফতা’র করে র‍্যাব। তাকে মায়ের করা মা’মলা’য় গ্রে’ফতা’র দেখিয়ে কলাবাগান থানায় হস্তান্তর করা হয়। মা’মলা’র পরের দিন ওই নারী বলেন, ঘটনার দিন মিল্লাত (ছেলে) অতিরিক্ত মা’রধ’র শুরু করে। প্রায় দুইঘণ্টা জি’ম্মি করে পে’টা’তে থাকে। বা’থরুমে পর্যন্ত যেতে দেয়নি। এরপর আমি ঘর বের হয়ে দৌড়ে নিচে যাই। নিচতলার ফ্ল্যাটে গিয়ে কলিং বেল দিলে তারা অনেকক্ষণ পর দরজা খোলে। তাদের পা-হাত ধরে আ’শ্রয় চাই। এরপর তারা আমাকে আ’শ্রয় দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মিল্লাতকে বাসা থেকে বের করে দেয়। কিন্তু বাসায় গিয়ে দেখি সে আবার বাসায়। পরে আমার চিৎকারে অন্য ফ্ল্যাটের লোকজন এসে ওকে বাসা থেকে বের করে দেয়। মা’মলা’র পর প্রায় মাকে হু’ম’কি দিতে ছেলে বাসায় আসত বলে জানান এই নারী।

ad

পাঠকের মতামত