314615

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সারাদেশে একযোগে আযানের ধ্বনি

বিশ্বব্যাপি মহামারী আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাস থেকে মুক্তি লাভের আশায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০ টা থেকে সারাদেশে একযোগে আযানের ধ্বনি ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে মুখরিত করে তুলেছে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শুধুমাত্র বিভিন্ন মসজিদের থেকে নয় প্রতিটি মানুষের ঘর থেকে ভেসে এসেছে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার গুণবতী গ্রাম থেকে মিসেস আলম জানান, আচমকা আজান শুরু হওয়ায় তারা প্রথমে হকচকিয়ে যান। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন, ভূমিকম্প বা কোনও প্রাকৃতিক দুর্যেোগ হয়েছে। পরে জানতে পারেন, করোনার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আজান দেয়া হচ্ছে।

একই জেলার দেবীদ্বার থানার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের বাসিন্দা মিসেস সবুব ফোনে জানান, তারাও আজান শুনে প্রথমে বুঝতে পারেননি কী হয়েছে। তিনি ঢাকায় কর্মরত স্বামীর সঙ্গে ফোনে আলাপ করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। চট্টগ্রমের লালখানবাজার থেকে মো. ফারুক একই কথা জানিয়েছেন।

হাদীস শরীফে আছে, কোন গ্রামে যখন আযান দেওয়া হয় তখন মহান আল্লাহতালা সেই দিন ওই গ্রামকে তার আজাব থেকে নিরাপদে রাখেন। অনেকের জানা ছিল না বলে অসময়ে আযানের শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। কেননা মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ভূমিকম্প হলেও আযান দিয়ে থাকেন।আযান প্রকৃতপক্ষে ইসলামের মৌলিক ইবাদত নামাজের দিকে মানুষকে আহবান করে। আযানের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়, বিপদ ও আজাব দূরীভূত হয়। ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী মহামারীর সময় আযান দেওয়া মুস্তাহাব।

কারণ, মহামারীর কারণে জনমনে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যার ফলে জনগণ উদ্বিগ্ন থাকে, ভীতি ও ত্রাসের সৃষ্টি হয় এমন পরিস্থিতিতে আযান আত্মার প্রশান্তি ও ভয় দূর করে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

ad

পাঠকের মতামত