312146

চীনে একদিনে রেকর্ড ২৪২ জনের মৃত্যু

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনের হুবেই প্রদেশে একদিনেই ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার মৃতের এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। এই নিয়ে সারা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৫ জনে। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে হংকং ও ফিলিপাইনে দুজন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, হুবেই প্রদেশে বুধবার করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এ ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা একদিনে সর্বোচ্চ এবং আগের রেকর্ডেরও দ্বিগুণ বেশি।

হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ হাজার ৮৪০ জন মানুষ নতুন করে এই ভাইরাসে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার চীনের সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে হুবেই প্রদেশ। ধারণা করা হচ্ছে, গত বছরের শেষের দিকে উহানের রাজধানীর একটি সীফুড বাজারে এটির উদ্ভব হয়েছিল। যেটি এখন বন্ধ রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে গত সপ্তাহে বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত করতে হুবেই প্রদেশে কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফি (সিটি) স্ক্যানের ব্যবহার করা শুরু হবে। যাতে করে রোগীদের দ্রুত চিহ্নিত করে হাসপাতালে ভর্তি করানো যায়।

কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রদেশের করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২০৬ জনে পৌঁছেছে।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকে চীনে মহামারি আকার ধারণ করে এই ভাইরাস। ভাইরাসটি চীনের ৩১ প্রাদেশিক পর্যায়ের অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবং প্রাণহানি বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অনেক আগেই সার্স ভাইরাসকে ছাড়িয়েছে করোনাভাইরাস। ২০০২-২০০৩ সালে আট মাসের মধ্যে ২৫টি দেশে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন আট হাজার ৯৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৭৪ জন।

এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে অধিকাংশ দেশ। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়া এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

ad

পাঠকের মতামত