310981

‘এজেন্ট ঢুকতে না পারলে জানান, আমরা কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দেবো’

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া প্রসঙ্গে র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, যদি কোনো প্রার্থীর এজেন্টকে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়ে থাকে আমাদের জানান। ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে সুনির্দিষ্ট করে বলেন কোন কেন্দ্রে কোন বুথে ঢুকতে দেয়া হয়নি। প্রয়োজনে আমাদের লোকজন গিয়ে তাদের সেখানে ঢুকিয়ে বসিয়ে দেবেন।

শনিবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন র‌্যাব ডিজি।

তিনি বলেন, আমরা সক্রিয়। সিকিউরিটি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ভোটাররা ভোট দিন। সিকিউরিটি নিয়ে প্রয়োজন হলে আমাদের যে উপস্থিতি রয়েছে তার কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারব। আমি ঢাকা শহরের ভোটারদের বলতে চাই সিকিউরিটি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসেন এবং ভোট দেন।

তিনি বলেন, যেহেতু নতুন টেকনোলজিতে ভোটগ্রহণ চলছে, ভোটদানে একটু সময় বেশি লাগছে। আমি মনে করি, যখন ভোটাররা আরও বেশি অভ্যস্ত হবেন ইলেকশন অফিশিয়ালস অর্থাৎ পোলিং এজেন্ট, এজেন্ট, প্রিজাইডিং অফিসাররা কাজ করতে করতে আরও অভিজ্ঞ হবে। তখন আর সময় বেশি লাগবে না।

ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করব ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসুন, ভোট দিন। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে আইডেন্টিফাই করে যেহেতু ভোটগ্রহণ চলছে। একজন ভোট আরেকজনের দেবার সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন সে ব্যাপারে আমরা নির্ভয় দিচ্ছি, আপনারা আসুন ভোট দিন। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে পর‌্যাপ্ত ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি উপস্থিত আছে। সাদা পোশাকেও আছে। তাছাড়া স্থানীয় সোসাইটির লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে জানান তিনি।

মোহাম্মদপুরে একজন সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একটু আগে বিষয়টি জেনেছি আমরা বিষয়টি দেখছি এবং রেস্পন্সিবলরা এ নিয়ে কাজ করছেন।

এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়া হচ্ছে না-এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমি বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বুথে বুথে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি, জানতে চেয়েছি যে প্রতিটি প্রার্থীর এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত রয়েছে কি না। আমি মোটামুটি সব প্রার্থীর এজেন্টকে পেয়েছি। ‘ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে সুনির্দিষ্ট করে বলেন কোন কেন্দ্রে কোন বুথে ঢুকতে দেয়া হয়নি, প্রয়োজনে তাদের সেখানে ঢুকিয়ে বসিয়ে দেবো। অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা না বলে আমাদের জানান।’

তিনি বলেন, এতো এতো মিডিয়া এখানে কাজ করছে নির্বাচন উপলক্ষে আমি প্রাউড ফিল করছি। তাছাড়া পরিস্থিতি এমন যে সাংবাদিকরা কেন, সিটিজেন রিপোর্টিংও হচ্ছে অর্থাৎ ভোট দিতে আসা লোকজনও নিজেরা ভিডিও করছেন।

ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে বলেন, এটা আসলে আমার সন্তুষ্টির বিষয় নয়। আমি মনে করি বেশি বেশি করে ভোটকেন্দ্রে আসা উচিত আর যিনি ভোট দেবেন ভোট দেয়া না দেয়া তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। ভোটকেন্দ্রে যাবো না এমন যদি সিদ্ধান্ত ভোটার নিয়ে থাকেন তাহলে তাকে তো আমরা বাধ্য করতে পারি না।

আমি বলতে চাই, ভোটাররা যাতে ভীতিমুক্ত পরিবেশে নিরাপত্তার সঙ্গে কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারেন এবং যাকে খুশি তাকে দিতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের, আমরা সেটা পরিপূর্ণভাবে পালন করছি।

ad

পাঠকের মতামত