308823

শীতকে রুখে দিতে মধুর ব্যবহার!

শীতকে রুখে দিতে রয়েছে মধুর নানাবিধ ব্যবহার। শরীরের উষ্ণতা বাড়াতে মধু সহায়তা করে থাকে। এছাড়া মধু ভালো শক্তি উৎপাদক একটি খাদ্য বলা হয়। ত্বক থেকে শুরু করে খাদ্যগুনে কোথায় নেই মধুর উপকারিতা? দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে উষ্ণতা বাড়ায় মধু। এছাড়া মধুতে রয়েছে রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। চলুন জেনে নেয়া যাক মধু যে উপকারগুলো সম্পর্কে…

শীতকালে মানুষ সবচেয়ে যে বেশি ঝামেলায় ভোগেন তা হল সর্দি, কাশি। কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে কমবে কাশির প্রকোপ। প্রতিদিন এক চামচ আদার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত আরোগ্য হবে খুসখুসে কাশির সমস্যা। শীতে পোড়া ও কাটাছেড়া সহজে ভাল করতে মধুর জুড়ি নেই। মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। কোথাও পুড়ে বা কেটে গেলে ক্ষত স্থানে মধুর একটি পাতলা প্রলেপ দিয়ে দিন। ব্যথা কমবে ও দ্রুত নিরাময় হবে। অন্যদিকে শীতে পিঠা-পায়েশের সঙ্গে নানা খাবারের স্বাদ নিতে আমরা সবাই পছন্দ করি। তাই এ সময় খাওয়ার পরিমাণও যায় বেড়ে। তখন অনেকের হজমে সমস্যা দেখা দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

শীত সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ত্বকের। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা ছত্রাক ও অন্যান্য কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে দ্রুত ভালো হতে সাহায্য করে। চর্মরোগ হলে নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে মধু লাগান। এক চামচ মধুর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে ক্ষতস্থানে ব্যবহার করুন। ঠাণ্ডায় আরেকটা প্রধান সমস্যা শ্বাসপ্রশ্বাসের। এরকম সমস্যায় মধুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশ কার্যকরী। চা কিংবা উষ্ণ পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে উপকার পাবেন। শীতে ঠোঁট ফাটা থেকেও রেহাই পেতে মধু কার্যকরী। রাতে ঘুমের পূর্বে নিয়মিত ঠোঁটে মধুর প্রলেপ লাগালে ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক দূর করতে সহায়তা করে। এর ফলে ঠোঁট থাকে নরম, তখন ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আর থাকে না। আবার ঠোঁটের সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি পায়।

ad

পাঠকের মতামত