ওবায়দুল কাদেরের কথা শুনে হাসির রোল
সম্মেলন মঞ্চে উঠেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত নেতাকর্মীর কাছে জানতে চাইলেন ‘আফনারা ভালানি’। তার মুখে এমন কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে হাসির রোল পড়ে যায়। সেই সঙ্গে উচ্চস্বরে জবাব আসে ‘ভালা-ভালা’।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তব্যের শুরুতেই স্থানীয় ভাষায় নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর জানতে চান ওবায়দুল কাদের।
এরপরই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মূল বক্তব্যে শুরু করেন তিনি। শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমি শ্রদ্ধা জানাই আমাদের ইতিহাসের মহানায়ক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি। জাতীয় চার নেতাসহ বাংলার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা জানাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মডেল তৈরি করতে আওয়ামী লীগকে নতুন করে গড়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ করতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। স্লোগান দিয়ে নেতা হওয়া যাবে না। সম্মেলনের মাধ্যমে প্রবীণের সঙ্গে নবীনের সমন্বয় ঘটে। এটাই নিয়ম। তবে পরিবর্তন মানে কাউকে বাদ দেয়া নয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হবে।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর সিলেটে আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে সমঝোতার মাধ্যমে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে দুই কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়েছে বিদায়ী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমানকে। সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আসাদ উদ্দিনের বড় ভাই সদ্য বিদায়ী জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মহানগরের বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জাকির হোসেন।