306332

আমি স্বপদে বহাল আছি, গুজব ছড়াবেন না: বিজিবি অধিনায়ক

এবার রাজশাহী বিজিবির অধিনায়ক ফেরদৌস জিয়াউদ্দীন মাহমুদকে নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে অনলাইন সক্রিয়কারীরা। তিনি স্বপদে স্বাভাবিকভাবেই চাকরিতে বহাল রয়েছেন। কিন্তু ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কোর্ট মার্শল ল’তে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

এসব বিষয়ে রাজশাহী ব্যাটালিয়ন বিজিবির-১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফেরদৌস জিয়া উদ্দীন মাহমুদ বলেন, ‘আমি স্বপদে সসম্মানে চাকরিতে বহাল আছি। আমাকে বরখাস্ত করা হয়নি। আমাকে কোন বিচারের মুখোমুখিও হতে হয়নি। আপনারা দয়া করে এসব অপপ্রচার করবেন না। এসব অপপ্রচার কেউ বিশ্বাস করে গুজব ছড়াবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমি স্বপদে সসম্মানে চাকরিতে বহাল আছি। আমাকে বরখাস্ত করা হয়নি। আমাকে কোনো বিচারের মুখোমুখিও হতে হয়নি। আমাকে নিয়ে এ বাংলায়-ওপার বাংলায় অপপ্রচার চলছে। আপনারা দয়া করে এসব অপপ্রচার করবেন না। এসব অপপ্রচার কেউ বিশ্বাস করে গুজব ছড়াবেন না।’

গত ১৭ অক্টোবর সীমান্তরেখা অতিক্রম করে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরতে ভারতীয় ৪ জেলে বাংলাদেশের সীমানায় অবৈধভাবে ঢুকে পড়ে। বিজিবি ও মৎস্য কর্মকর্তাদের যৌথ অভিযানে চারজন জেলেকে আটক করা হয়। পরে বিএসএফ তিন জেলেকে জোর করে ছিনিয়ে নেয়। অপর জেলে প্রণব মন্ডলকে ছিনিয়ে নিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গুলি ছুঁড়ে বিএসএফ। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এতে বিএসএফ সদস্য বিজয় ভান সিং নিহত হন।

এরপর, রাজশাহী বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দীন মাহমুদ সংবাদ সম্মেলন করে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ডেকে নিয়ে এসে কাছে আনার পর গুলি করে তাদের মেরে ফেলবো-একটা বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক অবনতি করবো, এমনটা হতে পারেনা। আমরা তাদের বলেছি, জাতিগতভাবে আমরা মদ্যপ নই এবং আমরা মানসিকভাবেও সবাই সুস্থ। একটা বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক অবনত করার মত কোন ঘটনাও ঘটেনি।’ তার এই বক্তব্যটি ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই তাকে ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে উল্লেখ করতে থাকেন।

ওই ঘটনার পর গতকাল সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন’এর এক খবরে বলা হয়, রাজশাহী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদকে বরখাস্ত এবং কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের ওই খবরের প্রতিক্রিয়ায় ৩ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমি কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হচ্ছি না। আমি স্বপদে বহাল আছি। দয়া করে আপনারা এসব অপপ্রচার ছড়াবেন না। ভারতীয় বাহিনীর কোন কর্মকর্তা কী বললেন, তা কোন ভারতীয় মিডিয়া লিখলো, তা আপনারা দেশে বসে লিখে দিচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আমরা দেশে আছি, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন না। এটা দুঃখজনক। কেউ এসব বিশ্বাস করে গুজব ছড়াবেন না।’

ad

পাঠকের মতামত