304796

যৌতুকের বলি পূর্ণিমার লা’শ বাবার কাঁধে

বিয়ের সাত মাসের মাথায় যৌতুকের বলি পূর্ণিমার লা’শ উঠেছে বাবার কাঁধে। রোববার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ির লোক পূর্ণিমাকে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।পরে পূর্ণিমার লা’শ রেখে পালিয়ে যায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এরপর পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল ম’র্গে পাঠায়।হৃদয় বিদারক এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার খুবজীপুর ইউপির শ্রীপুর গ্রামে। নিহত পূর্ণিমা ওই গ্রামের মো. পলান কাজির মেয়ে।

নিহত পূর্ণিমার বাবা বলেন, হতদরিদ্র হওয়ায় খুবজীপুর গ্রামের লিয়াকত হোসেনের ছেলে মো. সাগরের সঙ্গে পূর্ণিমার বিয়ে দেই। বিয়েতে এক লাখ ১০ হাজার টাকা যৌতুক নির্ধারণ করি। বিয়ের সময় মেয়ের শ্বশুরের হাতে ৬০ হাজার টাকা তুলে দেই। কিন্তু অনটনের কারণে বাকি টাকা দিতে পারিনি।

বিয়ের সাত মাস পর যৌতুকের বাকি টাকা না পেয়ে শ্বশুর বাড়ি লোক মেয়েকে নির্যাতন করত। এক পর্যায়ে রোববার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন পূর্ণিমাকে জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে হ’ত্যার করে। এ ঘটনায় পূর্ণিমার শ্বশুর বাড়ির ছয়জনের নামে মামলা করেছি। বিয়ের সাত মাসের মাথায় মেয়ের লা’শ কাঁধে নিতে হবে কখনো ভাবিনি।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পূর্ণিমার স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল ম’র্গে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতে পূর্ণিমার বাবা পলান কাজি বাদী হয়ে ছয়জনের ‘বিরুদ্ধে একটি এজাহার দিয়েছেন।

ad

পাঠকের মতামত