304710

খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক, এবারও বিপুল টাকা-স্বর্ণালঙ্কার

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক এবার তিন মাস ১৩ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলা হয়।

সিন্দুক থেকে টাকা বস্তায় ভরা হয়। পরে শুরু হয় টাকা গণনার কাজ। এর আগে সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।

এবারও দান সিন্দুকে কোটি টাকা বা তারও বেশি পরিমাণ দান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশী মুদ্রা রয়েছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর)সকাল ৯টায় দান সিন্দুক খোলার পর টাকা প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। পরে শুরু হয় টাকা গণনার কাজ। টাকা গণনা করার পর জানা যাবে, এবার কত টাকা সিন্দুকগুলোতে দান হিসেবে পাওয়া গেল।

টাকা গণনা কাজ তদারকি করছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মীর মো. আল কামাহ্ তমাল, নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুফ কুমার ভদ্র প্রমুখ।

কমিটি সূত্র জানায়, ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সিন্দুক খোলা হয়েছে। পাগলা মসজিদের টাকা গণনা চলছে। এবারও দান সিন্দুকে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে পাগলা মসজিদে টাকা গণনার এই এলাহী কাণ্ড নিজ চোখে অবলোকন করতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অনেকেই মসজিদে ছুটে যাচ্ছেন।

প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দান সিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। সাধারণত তিন মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় পর দান সিন্দুক খোলা হয়।

ad

পাঠকের মতামত