303575

এসএসসি পাস করে এমবিবিএস, ২০০ নারীকে ডাক্তারি প্রশিক্ষণ

নাম মো. রফিকুল ইসলাম। বয়স ৩৮। এসএসসি পাস করে একটি ওষুধের দোকানে কিছুদিন কাজ করেছেন। এর কিছুদিন পর নিজেকে এমবিবিএস, ডিসিএইচ (ভারত), মেডিসিন, মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ, চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন রফিকুল।

এই পরিচয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা ছাড়াও একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে প্রায় ২০০ জন নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন রফিকুল ইসলাম।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ শহরের চৌমাথা হাওলাদার মার্কেটে রফিকুলের চেম্বার। চেম্বারের পাশেই তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। প্রশিক্ষণের নামে ২০০ জন নারীর কাছ থেকে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-৮-এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটকের পর রফিকুল ইসলামের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। রফিকুল বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামের মৃত হাতেম আলী মোল্লার ছেলে।

র‌্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম বলেন, সবার চোখে ধুলা দিয়ে হাওলাদার মার্কেটে চেম্বার নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন রফিকুল ইসলাম। প্রায় দুই মাস ধরে চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি। তার অপচিকিৎসায় অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

মেজর খান সজিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের ভুল বুঝিয়ে দালালদের মাধ্যমে নিজের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসতেন রফিকুল। রফিকুলের চিকিৎসা ডিগ্রি না থাকলেও একটি কেন্দ্র খুলে ২০০ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন। তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি।

বিষয়টি নজরে এলে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় চিকিৎসক হিসেবে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি রফিকুল। রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করেছেন এসএসসি পাস করেছেন। এরপর আর লেখাপড়া করেননি।

মেজর খান সজিবুল ইসলাম আরও বলেন, আটকের পর রফিকুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে রফিকুলকে এক বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম।

ad

পাঠকের মতামত