303029

‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ’ উৎপাদনে চট্টগ্রামে জায়গা চায় চীন

নগরের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহের কথা জানিয়েছে চায়না পাওয়ার কোম্পানি। এর জন্য তারা চসিকের ১০ একর জায়গা ও দৈনিক দেড় হাজার টন বর্জ্য প্রয়োজন বলে জানান। এ প্রকল্পে কোম্পানিটি বিনিয়োগ করবে ১৮০ মিলিয়ন টাকা। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান কোম্পানির ম্যানেজার হ্যানকুন।

তিনি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদন কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ কোম্পানির পরিচালিত বাঁশখালী, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলমান বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো সম্পর্কে ধারণা দেন মি. হ্যানকুন।

চায়না পাওয়ার কোম্পানির প্রস্তাবকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দ্রুত সময়ের মধ্যে চায়না পাওয়ার কোম্পানিকে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়ার আহ্বান জানান। এরপর সুবিধাজনক সময়ে দুইপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে বৈঠকে মেয়র জানান।

মেয়র হালিশহর আনন্দবাজার এলাকায় চসিকের বর্জ্য ডাম্পিংয়ের ১৪ একর জায়গার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে এ প্রকল্প প্রতিষ্ঠা সম্ভব। প্রতিনিধিদলকে জায়গা ও বর্জ্য প্রদানে আশ্বস্ত করেন মেয়র।

এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, পরিবেশসম্মত নগর গড়তে চায় চসিক। কিন্তু দিনে দিনে ভাগাড়ে জমছে বর্জ্যের পাহাড়। এখনই আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় না গেলে সংকট আরও বাড়বে। প্রতিদিন এ নগরে গৃহস্থালি বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার মেট্রিক টন। কোনো ধরনের শোধন ছাড়াই দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে বাড়ছে বর্জ্যের স্তূপ। এতে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে নগরের ভেতরেও। তবে পুরো প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন হলে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ad

পাঠকের মতামত