302828

আন্দোলনের নামে দেশ অস্থিতিশীল করা হচ্ছে: ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা প্রসঙ্গে মধুর ক্যান্টিনে এক প্রেস ব্রিফিং এ ছাত্রলীগ দায়ি নয় বালে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।একইসঙ্গে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

এসময় আবরার হত্যার ঘটনার জন্য লজ্জা ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বাইরে ব্যক্তিগত কোন কিছুর দায় সংগঠন নেবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।এমনকি সংগঠনের ভেতরে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে নজারদারী অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে ছাত্রলীগ প্রশ্রয় দেয়নি। পলাতক বাকিদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, লক্ষ্য করেছি কিছু কুচক্রিমহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।জয় বলেন, এখন আন্দোলনের নামে দেশ অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগ থেকে অপরাধীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আবরার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে মাঠে আছেন তারা।

এছাড়াও লেখক ভট্টাচার্য বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে হল প্রশাসনের গাফিলতি ছিল। বুয়েটসহ যেকোন ক্যাম্পাসে এটা সাংগঠনিক সমস্যা নয়, গুটিকতক ব্যক্তির সমস্যা।এসময় এজাহারভুক্ত ১৯ জনের বাইরেরও যদি কেউ থাকে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের দাবি জানান জয়।

আবরার ফাহাদ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। রোববার সন্ধ্যার পরে তাকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে তার সহপাঠীরা।এরপরে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।আবরার ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন, ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া।

আবরার হত্যাকাণ্ডে হলের সিসিটিভি ফুটেজসহ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার ১১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।পরবর্তীতে গতকাল রাতে আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

ad

পাঠকের মতামত