ট্রাংকটাও পরে আছে মেঝেতে, নেই শুধু আবরার
অকালেই তুলে ফেলা হল একটি পাপড়ি। যে পাপড়ি থেকে হয়তো ফুল হয়ে সুগন্ধ ছড়াতো সারাদেশে। কিন্তু সে সুযোগ দেয়া হল না বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। নিষ্ঠুররা পিঠিয়ে হত্যা করেছে তাকে।
জানা গেছে, আবরার ফাহাদ বুয়েটের শের-ই–বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। সেই কক্ষে সবাই থাকলেও এখন নেই আবরার।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের ভেতর পরে আছে আবরারের ব্যবহৃত জিনিসপত্র। এরমধ্যে ফাহাদ লেখা ট্রাংকটাও আছে। কক্ষের ভেতর পড়ার টেবিলস সবকিছু থাকলেও শুধু নেই আবরার ফাহাদ।
প্রতিদিন যে কক্ষে বই বিয়ে ব্যস্ত থাকতেন আবরার সে কক্ষ আজ নিশ্চুপ। আবরারের বিদায়ে যেন কক্ষের ভেতরেও শোকের মাতম।এদিকে, মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাসার সামনে আবরারের তৃতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
কুষ্টিয়ার আফসার উদ্দিন গার্লস ফাজিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম এই জানাজা পড়ান। এতে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। সবাইকে কাঁদিয়ে দুনিয়া ছেড়ে বিদায় নিলেন আবরার। তার এ অকালে চলে যাওয়ার শোক সইবেন কিভাবে তারা প্রিয়জনরা?