302629

ডেকে নেওয়ার সময় অংক করছিলেন আবরার!

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাকে ডেকে নেওয়ার আগে সে অংক করছিল বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক বন্ধু। সরেজমিনে বুয়েটর শেরে বাংলা আবাসিক হলে গিয়ে আবরারের ১০১১ নম্বর রুমে তার পড়ার টেবিলে অংক খাতাটি উন্মুক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই খাতা দেখে ধারণা করা যাচ্ছে ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যাবার আগে অংক করছিলেন।

শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্ররা বলেছেন, গতরাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে ডেকে নিয়ে ‘শিবিরকর্মী’ সন্দেহে জেরা করার পর ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন আবরারকে পেটান। আবরার হত্যাকান্ডের ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এবং সহ সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আবরার ফাহাদকে হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। তাকে শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নং রুমে হত্যা করা হয়। রুমটি থেকে হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। বাবা বরকত উল্লাহ এনজিও কর্মী। আর মা রোকেয়া বেগম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়। তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজে পড়ে। আবরার ফাহাদ শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। আবরার ফাহাদের শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের পেছনে, বাম হাতে ও কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত আঘাতের কালো দাগ দেখতে পাওয়া গেছে।

ad

পাঠকের মতামত