302594

আবরার হত্যায় কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেবে ছাত্রলীগ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের কারও বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার একথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এ ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- ইয়াজ আল রিয়াদ এবং আসিফ তালুকদার। তাদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বুয়েটের সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। ছাত্রলীগ কখনো এরূপ ঘটনা বা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না।

এর আগে সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ফাহাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ‘শিবির সন্দেহে’ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। ফাহাদ কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বরকত উল্লাহ ছেলে। হল শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ফাহাদকে জেরা ও পেটানোর সময় ওই কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ, ইফতি মোশারফ ওরফে সকালসহ তৃতীয় বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন।

ওই কক্ষে এসে দ্বিতীয় দফায় ফাহাদকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোস্তাকিন ফুয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে চকবাজার থানা পুলিশ আটক করেছে।

ad

পাঠকের মতামত