302194

সবার জন্য ২০০ টাকা, প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য মাত্র ৬ টাকা!

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টিফিন ভাতা হিসাবে মাসে পেয়ে থাকেন ২০০ টাকা। তবে এই একই স্কেলে সরকারি অন্যান্য বিভাগে যারা কর্মরত রয়েছেন এই ভাতা তাদের এক দিনের টিফিন ভাতার সমান। আর এই বিষয়টি অমানবিক বলে মনে করছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বদরুল আলম।

বদরুল আলম বলেন, সাড়ে ৬ টাকা দিয়ে এখন কি পাওয়া যায় আপনার বিবেককে একবার প্রশ্ন করে দেখুন। এই টাকা দিয়ে এক প্যাকেট চিপসও কেনা যায় না। এটা শিক্ষকদের জন্য চরম অসম্মানের। সরকারের টাকার অভাব পড়লে আমাদের টিফিন ভাতা দেওয়ার দরকার নেই। তবুও যেন আমাদের প্রতি এমন অবিচার না করে।

তিনি বলেন, একই স্কেলে চাকরি করা একজন সরকারি চাকরিজীবীর প্রতিদিন যেখানে ২০০ টাকা করে টিফিন ভাতা পান। সেখানে আমরা পাই সাড়ে ৬ টাকা। এটা অমানবিক। অন্যায়। আমাদের অন্তত পক্ষে মাসে ৩ হাজার টাকা টিফিন ভাতা দেয়া দরকার।

নারায়ণগঞ্জ লক্ষণ সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সাবেরা বেগম বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষকরা যে কতটা অবহেলিত তা এই টিফিন ভাতার বৈষম্য দেখলেই অনুমান করা যায়। প্রাথমিকের শিক্ষকদের দেশ গড়ার কারিগর বলা হয়। অথচ তাদেরকে টিফিনের জন্য দেয়া হয় ৬ টাকা ৬৭ পয়সা?

এখন ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাকেও টিফিনের জন্য ৫০ টাকা দেয় তার পরিবার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সাড়ে ৬ টাকা দিয়ে আমরা কি খাবো? এইটা নিয়ে কথা বলতেও লজ্জা লাগে। প্রাথমিকের শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের সাথে তুলনা করা হয়। আপনি তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর কাছে প্রথম শ্রেণীর নাগরিক তৈরির আশা করেন কীভাবে?

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পে স্কেলে প্রাথমিক শিক্ষকদের টিফিন ভাতা মাসে ২০০ টাকা করা হয়। এর আগে প্রাথমিকের শিক্ষকরা মাসে ১০০ টাকা টিফিনভাতা পেতে।

ad

পাঠকের মতামত