289919

নুসরাত হত্যা : কে এই শম্পা?

নিউজ ডেস্ক।। সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলীম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় আলোচনায় আসে শম্পা নামটি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ই এপ্রিল চিকিৎসকদের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে (ডাইং ডিক্লারেশন) ‘শম্পা’ নামটি উল্লেখ করেন নুসরাত। চিকিৎসকদের তিনি বলেন, হাত মোজা, চশমা ও বোরকা পরা চারজন তাকে মাদরাসা ভবনের তিন তলার ছাদে ডেকে নেয়। পরে এই চারজন নুসরাতের দুই হাত পেছনে ওড়না দিয়ে বেঁধে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এদের মধ্যে একজনকে বাকিরা ‘শম্পা’ বলে সম্বোধন করেন। চিকিৎসকদের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে এমন কথা বলেন নুসরাত। তার দেয়া এমন জবানবন্দির পর শম্পাকে ধরতে তৎপর হয় পুলিশ।

গত ৯ এপ্রিল ‘শম্পা’ সন্দেহে মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ও নুসরাতের সহপাঠী উম্মে সুলতানা পপিকে আটক করে পুলিশ। আটক পপি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দোলাহর ভাগ্নি এবং অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করার পর তার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনেও সে নেতৃত্ব দিয়েছিল।

নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনায় পপি জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে তাকে আটক করা হয় বলে জানায় পুলিশ। তবে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কিংবা নুসরাতের সহপাঠীদের মধ্যে শম্পা নামে কেউ নেই। এমনকি ঘটনাস্থলের আশেপাশে ও স্থানীয়দের মধ্যে এই নামে কারো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই নামে কাউকে চিনছেন না। তবে, পুলিশ ও এলাকাবাসীরা ধারণা অপরাধীরা তাদের আসল পরিচয় এড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে কৌশলে ‘শম্পা’ নামটি ব্যবহার করে থাকতে পারে। তারপরও ‘শম্পা’ নামের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। উৎস: মানবজমিন।

ad

পাঠকের মতামত